ঢাকা, রবিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

মিশ্র টিকার বিষয়ে সর্তক অবস্থানে নাইটেগ (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৩৩, ৮ জুলাই ২০২১

Ekushey Television Ltd.

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় ডোজ যারা পাননি তাদেরকে অন্য টিকা দেওয়ার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি সরকারের টিকা বিষয়ক ন্যাশনাল ইমুনাইজেশন টেকনিক্যাল এক্সপার্ট গ্রুপ, নাইটেগ। মিশ্র টিকার বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের অপেক্ষায় তারা। তবে,  মিশ্র টিকার গবেষণার জন্য প্রটোকল পেপার জমা দিয়েছে আইইডিসিআর।

ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে করোনা পরিস্থিতি। শনাক্ত এবং মৃত্যুর রেখা প্রতিদিনই উপরের দিকে উঠছে। এপ্রিলে ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের পর সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ফলাফল বলছে- মে মাসে ৪৫ শতাংশ ও জুন মাসে ৭৮ শতাংশ নমুনায় শনাক্ত হয়েছে ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট। 

প্রতিরোধে ফেব্রুয়ারি থেকে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ভ্যাক্সিনেশন শুরু হয়। ভারতে সংকট শুরু হলে সেরাম থেকে টিকা আসা বন্ধ হয়। দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় ১৫ লাখ ২৭ হাজার ৪১৫ জন। এ অবস্থায় মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ পদ্ধতি অর্থাৎ দুই ডোজ দুই ধরণের টিকা দেয়ার বিষয়টি ভাবার সময় এসেছে।
 
ঢাকা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজির বিভাগীয় প্রধান ডা. এসএম সামসুজ্জামান বলেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার মধ্যে যে জিনটা ঢুকিয়ে দেয়া আছে সেটা স্পাইড প্রতিরোধ তৈরি করবে। অন্য টিকা বিশেষ করে মডার্না এবং ফাইজার এগুলোর যে আরএন এটাও স্পাইড প্রতিরোধ তৈরি করে। হয়তো এদিক-ওদিক হতে পারে এক্ষেত্রে কোন সমস্যা হওয়ার কথা না।

তবে মিশ্র টিকার বিষয়ে সর্তক অবস্থানে টিকা বিষয়ক ন্যাশনাল ইমুনাইজেশন টেকনিক্যাল এক্সপার্ট গ্রুপ, নাইটেগ।

নাইটেগ সদস্য সচিব অধ্যাপক বে নজীর আহমেদ বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোন অনুমোদন দেয়নি এভাবে দেয়ার ব্যাপারে। বিশ্বের বিখ্যাত যে রেগুলেটরি আছে যেমন- ফুড অ্যান্ড ড্রাগ এডমিনেশন ইউএস, ইউকে, ইউরোপিয়ান দেয়নি। তবে এই অথরোটির কেউ যদি বলে দেয়া যাবে, তাহলে আমরা অবশ্যই দেব। মানুষের জীবনের বিষয়, সুতরাং আমরা হঠাৎ করে দুটি-একটি এভিডেন্সের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।

তবে, টিকার মিশ্র ডোজ ব্যবহারে গবেষণার জন্য প্রটোকল পেপার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জমা দেয়ার কথা জানিয়েছেন আইইডিসিআর পরিচালক।

আইইডিসিআর পরিচালক ডা. তাহমীনা শিরীন বলেন, যে প্রটোকলটির সাথে জড়িত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং আমরা আইসিডিডিআরবি। সেখানে অনেকগুলো প্রটোকল পেপার জমা দিয়েছি। সুতরাং এটা একটা প্রোসেস এবং যাছাই-বাছাইর মাধ্যমে যদি আমাদের প্রটোকলটি নির্বাচিত হয় তখন রিসার্চটি আমরা শুরু করতে পারবো।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম ডোজ নেয়ার ৬ মাস পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ নেয়া যাবে। আর এ সময়ের মধ্যেই টিকা পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি