মিষ্টি কুমড়া চাষ করে হতদরিদ্র নারীরা স্বাবলম্বি(ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:১২, ১৪ জুন ২০১৮
রংপুরের কাউনিয়ায় তিস্তা নদীর চরাঞ্চলে পতিত জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করে এখন স্বাবলম্বি হতদরিদ্র নারীরা। তিন বছরে প্রত্যেকেই লাখোপতি। জীর্ন কুঁড়ে ঘরের জায়গায় স্থান করে নিয়েছে পাকাবাড়ি। চরাঞ্চলে কুমড়া চাষের এমন সাফল্য দেখে উচ্ছ্বসিত অন্য দেশের কৃষি বিশেষজ্ঞরাও।
রংপুরের কাউনিয়ার দরিদ্র কৃষক রাধা রানী ও তার স্বামী এ’বছর ১৮০টি গর্ত খুড়ে মিষ্টি কুমড়ার বীজ রোপন করেন। কুমড়া চাষে তাদের ব্যয় হয় এক লাখ ২০ হাজার টাকা। আর মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে লাভ হবে প্রায় ৫ লাখ টাকা। রাধা রানীর মতো কল্পনা রানী, সান্তনা রানী, সালমা বেগম সহ অনেকেই মিষ্টি কুমড়া চাষ করে এখন স্বাবলম্বি।
তিন বছর আগে কাউনিয়ার তালুক শাহবাজ গ্রামের ১২০ জন হতদরিদ্র নারী কৃষি বিভাগ ও একটি বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় তিস্তার চরাঞ্চলে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ শুরু করেন। শুরু থেকেই আসতে থাকে সাফল্য।
হতদরিদ্র নারীদের স্বাবলম্বি করতে পেরে খুশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তারাও।
তিস্তার চরাঞ্চলে মিষ্টি কুমড়ার ক্ষেত দেখে অভিভূত নেপাল ও ভুটানের কৃষি বিশেষজ্ঞরা। মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের কাছে শেখা এই পদ্ধতি নিজ দেশে প্রয়োগের কথা জানিয়েছেন তারা।
চাষের এই পদ্ধতি মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখতে এবং জলবায়ু পরিবতর্নের সাথে মানিয়ে নিতে অসাধারণ ভূমিকা রাখবে।
পদ্ধতিটি খুব সহজ হলেও, এর প্রভাব অনেক বিস্তৃত ও অতুলনীয়।
চরাঞ্চলে ফসল আবাদের কারণে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে বলে জানালেন এই কৃষি কর্মকর্তা।
পতিত জমিতে ফসল আবাদে কৃষি বিভাগকে আরো উদ্যোগী ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন