মিস কল থেকে প্রেম পরিণতি ১৪ দিন বাসায় রেখে ধর্ষণ
প্রকাশিত : ০৯:২৭, ৬ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ১০:৪৮, ৭ জুলাই ২০১৭
মুঠোফোনে মিস কল থেকে পরিচয়। এরপর আলাপন। এক পর্যায়ে প্রণয়। এরই ধারবাহিকতায় সম্পর্ক আরও গভীর হয়। টানা এক বছর গোপন অভিসারে একে অপরের সঙ্গে দেখা করা। মধুর এ সম্পর্কের পরিণতি রূপ নেয় বিষাদে, কথিত প্রেমিকের পাশবিকতায়। ওই প্রেমিকরূপী নরপশু প্রেমিকাকে বিয়ের প্রলোভনে নিজ বাড়িতে ১৪ দিন রেখে ধর্ষণ করেছে।
এখানেই শেষ নয়। গ্রাম্য শালিসে ওই তরুণীর সম্ভ্রমের মূল্য ৭০ হাজার টাকা ধার্য করে রফাদফার প্রস্তাব করা হয়েছে।
সুনামঞ্জের ছাতক উপজেলার সৈদরগাঁও ইউনিয়নের দারণ গ্রামের ঘটনা এটি। ওই গ্রামের আবদুল কাহারের ছেলে আবদুল আলীম প্রেমিকাকে ধর্ষণ শেষে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এ ঘটনায় তরুণী মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ভুক্তভোগী তরুণী (২২) এ প্রতিবেদককে জানান, ৭ মে আলীম তাকে ফোন করে শেওলা জিরো পয়েন্টে যেতে বলে। সেখানে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে তরুণী প্রথমে রাজি হননি। পরে তার জোরাজুরিতে রাজি হন। রাত সাড়ে ১২টায় আলীম তরুণীকে নিয়ে যায় তার ছাতক উপজেলার দারণ গ্রামের বাড়িতে। সেখানে রাত ২টার দিকে ভয় দেখিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ করে আলীম।
তরুণীর কান্না দেখে আলীম বাড়ি থেকে চলে যায়। দু’দিন পর ফিরে এসে বিয়ের আয়োজনের কথা বলে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করতে থাকে। ২১ মে তরুণীর স্বজনরা ওই বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করে।
ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের, বিলাল চেয়ারম্যানসহ স্থানীয়রা সালিশে সমাধান করার কথা বলেন। সেখানে তরুণীর ওপর অপবাদ দেয়া হয়। তরুণীর সম্ভ্রমের মূল্য ৭০ হাজার টাকা ধার্য করে রফাদফা করার প্রস্তাব করা হয়। এতে অপমানে ক্ষোভে তরুণী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
বিয়ানীবাজার কুড়ারবাজার ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বলেন, আলীমের মামা বিলাল চেয়ারম্যান তরুণীর পারিবারকে ৭০ হাজার টাকা দিয়েছেন। এ টাকার ২০ হাজার তরুণীর চাচার কাছে রয়েছে। ৫০ হাজার টাকা আমার কাছে আছে। মেয়ের পক্ষ টাকা নেয়নি।
//এআর
আরও পড়ুন