ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

মিয়ানমার সীমান্তে আর পূর্বের পরিস্থিতি হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:০২, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মিয়ানমার সীমান্তে ইতিপূর্বে যে ধরণের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, আশা করব সেই ধরণের পরিস্থিতির আবার উদ্ভব হবে না। তিনি বলেন, আমাদের পক্ষে আর কোনো রোহিঙ্গাকে গ্রহণ কিংবা আশ্রয় দেওয়া সম্ভবপর নয়।

আজ শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবি শিরিষ তলায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) আয়োজিত অমর একুশে বই মেলায় 'মহান একুশে চসিক স্মারক সম্মাননা পদক' প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আমরা আশ্রয় দিয়েছি। প্রতি বছর ৩৫ হাজার নতুন রোহিঙ্গা শিশু জন্মগ্রহণ করে অর্থাৎ প্রতি বছর এই সংখ্যাটা বাড়ছে।

সীমান্তে রোহিঙ্গাদের অবস্থান নিয়ে ড. হাছান বলেন, ক'দিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিউনিখে সিকিউরিটি কনফারেন্সে গিয়েছিলেন। সেখানেও আমরা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সাথে আলোচনা করেছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল আসছে। এটি আমাদের দুই দেশের সম্পর্ককে আরো গভীরতর করার ক্ষেত্রে সহায়ক এবং তাদের সঙ্গে নিশ্চিতভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি আলোচনা করা হবে।  

তিনি বলেন, রাখাইনে অভিযান পরিচালনা করাটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়, কিন্তু সেটির কারণে আমাদের এখানে উত্তেজনা ইতিপূর্বে তৈরি হয়েছে, এবং সেখানকার মর্টার শেল আমাদের দেশে এসে পড়েছে, দুইজন নিহতও হয়েছে। ৩৩০ জনের মতো তাদের সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য আমাদের দেশে এসেছিল, আবার তাদেরকে ফেরত নিয়ে গেছে।

চট্টগ্রাম বইমেলাকে আন্তর্জাতিকীকরণের উপর গুরুত্বারোপ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকা ছাড়াও কলকাতা, আগরতলা ও আসামসহ তাদের গুণীজন ও প্রকাশকদের এখানে আনতে হবে। তখন এই মেলার আন্তর্জাতিকীকরণ হবে। দুই বাংলার মানুষ আমরা একই ভাষায় কথা বলি, একই সংস্কৃতি লালন করি, একই পাখির কলতানে বড় হই, একই নদীর অববাহিকায় বসবাস করি। রাজনৈতিক সীমারেখা অতিক্রম করে আমাদের মানুষে মানুষে নৈকট্য বাড়ানো প্রয়োজন। তার অন্যতম প্রধান উপায় হচ্ছে সাহিত্য-সংস্কৃতি এবং বই।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ২০২৪ একুশে স্মারক সম্মাননা পদক ও সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনে শহীদ সাইফুদ্দিন খালেদ চৌধুরী (মরণোত্তর), শিল্প উন্নয়ন ও সমাজসেবায় মো. নাছির উদ্দিন (মরণোত্তর), চিকিৎসায় প্রফেসর ডা. মো. গোফরানুল হক, নাট্যকলায় শিশির দত্ত, সংস্কৃতিতে শ্রেয়সী রায়, শিক্ষায় প্রফেসর প্রদীপ ভট্টাচার্য, সংবাদপত্র শিল্পের বিকাশ ও মানোন্নয়নে সুপ্রভাত বাংলাদেশ সম্পাদক রুশো মাহমুদ, সাংবাদিকতায় জসীম চৌধুরী সবুজ, ক্রীড়ায় জাকির হোসেন লুলু, স্বল্পদের্ঘ্য চলচিত্র নির্মাণ ও গবেষণায় শৈবাল চৌধুরী, লোকসাহিত্য ও গবেষণায় শামসুল আরেফীন, প্রবন্ধে শামসুদ্দিন শিশির, কবিতায় আবসার হাবীব ও ভাগ্যধন বড়ুয়া, শিশু সাহিত্যে ছড়াকার অরুণ শীল ও  শিবু কান্তি দাশ এবং প্রতিনিধিদের হাতে মন্ত্রী সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বইমেলা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন নাট্যকলায় সম্মাননাপ্রাপ্ত শিশির দত্ত, কবিতায় সম্মাননাপ্রাপ্ত আবসার হাবীব প্রমুখ।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি