ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৩ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে ২৪ হাজার রোহিঙ্গা হত্যা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:১৯, ১৭ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ১৯:২৩, ১৭ আগস্ট ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের রাখাইন রাজ্য অন্তত ২৪ হাজার রোহিঙ্গা প্রাণ হারিয়েছে বলে‘ফোর্সড মাইগ্রেশন অব রোহিঙ্গা: দ্য আনটোল্ড এক্সপেরিয়েন্স (জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা: অব্যক্ত অভিজ্ঞতা)’বইয়ে ভয়াবহ এসব তথ্য উঠে এসেছে।

রোহিঙ্গাদের ওপর পরিচালিত গবেষণার ভিত্তিতে বইটি প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী নির্যাতনে ১৮ হাজার নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত বুধবার লন্ডনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘রোহিঙ্গা সংকট: বহুমাত্রিক প্রেক্ষাপট’শীর্ষক এক বিশেষ অধিবেশনে গবেষণাগ্রন্থটি উপস্থাপন করা হয়। বইটি প্রকাশ করেছে কানাডার অন্টারিওতে নিবন্ধিত একটি বেসরকারি সাহায্য সংস্থা অন্টারিও ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (ওআইডিএ)।

কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া তিন হাজার তিন শ রোহিঙ্গা পরিবারের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে গবেষণাগ্রন্থটি তৈরি করা হয়েছে। গবেষণার মূল লক্ষ্য ছিল ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে ২০১৮ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সাড়ে ছয় লাখ রোহিঙ্গার অভিজ্ঞতা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার ৩৩টি শিবিরের প্রতিটি থেকে এক শ পরিবারের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। সাক্ষাৎকারে অংশ নেওয়া রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের ২৩ মহকুমার ১ হাজার ৩০৬ গ্রামের অধিবাসী।

এবছরের জানুয়ারিতে কক্সবাজারের শিবিরে রোহিঙ্গাদের ওপর গবেষণা চালানোর সময় পাঁচটি বিষয়ে জোর দেওয়া হয়। এগুলো হচ্ছে ১.মিয়ানমার থেকে তাদের বাংলাদেশে আসার কারণ আর যাত্রাপথের বর্ণনা। ২.মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জীবনযাত্রা কেমন ছিল আর জীবিকার ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা কোথায়। ৩.বাংলাদেশের শিবিরে তাদের অভিজ্ঞতা। ৪.বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আর্থসামাজিক অবস্থা এবং তাদের ক্ষতিপূরণের পরিকল্পনা। ৫. ফেরার ক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের মৌলিক চাহিদা কী কী। সাক্ষাৎকারে অংশ নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৮০ শতাংশই বলেছেন, তাঁরা মৌখিক কিংবা শারীরিকভাবে লাঞ্ছনা ও গ্রেফতার শিকার হয়েছেন।

রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৯৩ ভাগই বঞ্চনার শিকার হওয়ার কথা বলেছেন। তাঁরা সবচেয়ে বেশি বঞ্চনার শিকার হন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে—৭৯ শতাংশ। এমনকি তাঁরা স্কুল (৭৬ শতাংশ), থানা (৬৩ শতাংশ) ও ব্যাংকে (২৭ শতাংশ) বঞ্চনার শিকার হয়েছেন।

বইটি যৌথভাবে লেখা ও সম্পাদনার কাজটি করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সুইনবার্ন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির অধ্যাপক ক্রিস্টিন জুব ও ড. মোহসিন হাবিব, অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া প্রদেশের পরিবেশ, ভূমি, পানি পরিকল্পনা বিভাগের গবেষক সালাহউদ্দিন আহমেদ, কানাডার লরেন্টিয়ান ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হেনরি পিলার্ড এবং নরওয়ের ইউনিভার্সিটি অব নরডল্যান্ডের সহযোগী অধ্যাপক মাসুদুর রহমান।

গ্রন্থটি প্রণয়নের জন্য কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে গবেষণা চালানো হয়। ওই গবেষণায় অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নরওয়ের গবেষকেরা অংশ নেন।

 টিআর/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি