ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মিয়ানমারকে শাস্তি নয়, সমাধান চায় যুক্তরাষ্ট্র

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৫০, ৫ নভেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ২১:০০, ৫ নভেম্বর ২০১৭

‘রোহিঙ্গা ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় যুক্তরাষ্ট। কূটনৈতিকভাবে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করা যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য, মিয়ানমারকে শাস্তি দেওয়া নয়` বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি টমাস শ্যানন।

আজ রোববার রাজধানীতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

যে মাত্রার নির্যাতনের শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই তাদের নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কিন্তু সমস্যার সমাধানের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের আসলে ভূমিকা কী হবে সেটিই স্পষ্ট করলেন টমাস শ্যানন, যিনি যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের ষষ্ঠ অংশীদারিত্ব সংলাপে যোগ দিতে ঢাকায় এসেছেন।

শ্যানন আরও বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে চাই কূটনৈতিক মাধ্যমে। আমাদের ইচ্ছা বাংলাদেশ সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং জাতিসংঘের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করা। কেন রোহিঙ্গারা মানবিক সংকটের শিকার হচ্ছে এবং কেন তারা পালিয়ে আসছে তার সমাধান করাই আমাদের উদ্দেশ্য।’

টমাস শ্যানন বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি তো হয়েছেই। মিয়ানমার এখন নিজেদের উন্মুক্ত করেছে রাখাইনের দুর্গত এলাকা পরিদর্শনের ব্যাপারে।’

‘আমাদের কূটনীতিকরা সেখানে যেতে পারছেন, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করা যাচ্ছে। আমরা এরই মধ্যে জনসম্মুখে বলেছি যুক্তরাষ্ট্রের হাতে বর্তমানে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করার মতো মাধ্যম রয়েছে, যাতে তুলনামূলক বেশি চাপ দেওয়া যায় এবং যুক্তরাষ্ট্র সেটার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করবে। কিন্তু এই মুহূর্তে আমাদের উদ্দেশ্য রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করা, শাস্তি দেওয়া নয়।’

অংশীদারিত্ব সংলাপে বাংলাদেশের পক্ষে অংশ নেন পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক। সংলাপ শেষে মো. শহীদুল হক বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে জোরালো সমর্থক। অংশীদারত্ব সংলাপে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আমাদের মধ্যে বিস্তারিত ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।’

সংলাপের আলোচ্যসূচিতে ভারত মহাসাগর অঞ্চলের নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবাদের বিষয়টিও ছিল।

উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন, গণহত্যা, গণধর্ষণ চালায় তারা। অভিযানের মুখে ছয় লক্ষাধিক রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে

কেআই/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি