ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

মিয়ানমারে বন্দি দুই রয়টার্স সাংবাদিক পেলেন পুলিৎজার

প্রকাশিত : ১৯:৪২, ১৬ এপ্রিল ২০১৯

মিয়ানমারে কারাদণ্ডরত দুই রয়টার্স সাংবাদিক সোমবার (১৫ এপ্রিল) সাংবাদিকতায় সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার হিসেবে স্বীকৃত পুলিৎজার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। মিয়ানমারের বৌদ্ধ উগ্রপন্থী বৌদ্ধ গ্রামবাসী ও দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ১০ রোহিঙ্গা হত্যাকাণ্ডের খবর প্রকাশ করায় তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা হত্যাকাণ্ডের এ প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়েই আটক হয়েছিলেন ওই দুই রয়টার্স সাংবাদিক।

২০১৭ সালের ডিসেম্বরের এক সন্ধ্যায় দাফতরিক গোপনীয়তা আইন ভঙ্গের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার দেখায় মিয়ানমার পুলিশ। রাখাইনের ইন দিন গ্রামে সেনা অভিযানের সময় রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো গণহত্যার ওপর অনুসন্ধান চালাতে গিয়েই মামলার কবলে পড়েন তারা। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে তাদের বিরুদ্ধে সাত বছর করে কারাদণ্ড ঘোষণা করে ইয়াঙ্গুনের একটি জেলা আদালত। নভেম্বরের শুরুতে ইয়াঙ্গুনের হাইকোর্টে দুই সাংবাদিকের পক্ষে আপিল করেন তাদের আইনজীবীরা। এ বছরের ১১ জানুয়ারি আপিল খারিজ করে দিয়ে নিম্ন আদালতের সাজা বহাল রাখা হয়।

প্রায় ৫০০ দিন ধরে মিয়ানমারের কারাগারে থাকা ওই দুই রয়টার্স সাংবাদিককে সোমবার (১৫ এপ্রিল) পুলিৎজার পুরস্কার জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৮ সালের জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে ইন দিন গ্রামে সংঘটিত এক গণহত্যার চিত্র তুলে এনেছিলেন তারা। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রথমবারের মতো মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ১০ রোহিঙ্গা হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল। এছাড়া এ বছর আরও একটি পুলিৎজার পুরস্কার জিতেছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

পুলিৎজার পুরস্কার প্রাপ্তি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে রয়টার্সের এডিটর ইন চিফ স্টিফেন জে. এডলার বলেন, ‘কাজের স্বীকৃতি পাওয়াটা অনেক বড় ব্যাপার।

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যার খবর সংগ্রহ করার জন্য রয়টার্সের ওই দুই সাংবাদিক ২০১৮ সালে ব্রিটিশ সাংবাদিকতা পুরস্কার পেয়েছিলেন। এছাড়া ওই বছর আরও বেশ কয়েকটি পুরস্কার পান তারা। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ফরেইন প্রেস অ্যাসোসিয়েশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড, পেন/বারবেই ফ্রিডম টু রাইট অ্যাওয়ার্ড, ওসবর্ন এলিয়ট প্রাইজ, ওয়ান ওয়ার্ল্ড মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড, জেমস ফলে মেডিল মেডেল ফর কারেজ ইন জার্নালিজম।

মিয়ানমারে সেই দেশের সেনা সদস্যরা ওই দেশের রোহিঙ্গাদের ওপর অমানুষিক অত্যাচার চালিয়ে খুন-ধর্ষণ করে। আর প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় সাত লাখের অধিক রোহিঙ্গা।

তথ্যসূত্র :রয়টার্স, সিএনএন।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি