ঢাকা, সোমবার   ৩১ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯৪

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৩, ২৯ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ১১:০৬, ২৯ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ভূমিকম্পের ঘটনায় মিয়ানমারে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত আহত হয়েছে ১ হাজার ৬৭০ জন। নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয় সময় আজ শনিবার দেশটির জান্তা সরকার এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।

শুক্রবারের ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর রাজধানী নেপিডোর যেসব ছবি পাওয়া গেছে, সেগুলোয় রাস্তায় বড় আকারের ফাটল এবং ধসে পড়া ভবনের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। 

ভূমিকম্পে সরকারি কর্মচারীদের থাকার জন্য ব্যবহার করা একাধিক ভবন ধ্বংস হয়েছে এবং ধ্বংসস্তূপ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের কেন্দ্রস্থলে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের কয়েক ঘণ্টা পরে মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ডের উদ্ধারকর্মীরা জীবিতদের খুঁজে বের করার জন্য লড়াই করছেন। মিয়ানমারের মানুষের ঠাঁই হয়েছে রাস্তায়। তারা ঘরের ভেতরে যেতে ভয় পাচ্ছেন বলেও জানানো হয় প্রতিবেদনে।  

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের অনুমান, ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।

এদিকে, মিয়ানমারের সামরিক সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং বলেছেন যে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ‘যেকোনো দেশকে’ সাহায্য ও অনুদানের জন্য এগিয়ে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।

ভয়াবহ এ ভূমিকম্পের পর জাতিসংঘ তাদের আঞ্চলিক সহায়তা কার্যক্রম সক্রিয় করেছে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ সহায়তা দিতে প্রস্তুত।’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দুবাই থেকে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠিয়েছে।

ভূমিকম্প-পরবর্তী সর্বাত্মক সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত। ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ-নোয়েল বারো নিশ্চিত করেছেন, সহায়তা পাঠাতে প্রস্তুত ফ্রান্স। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাও ত্রাণ কার্যক্রম চালানোর পরিকল্পনা করছে। তবে ধ্বংসপ্রাপ্ত অবকাঠামো এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রবেশের সীমাবদ্ধতায় ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার কার্যক্রম।

মার্কিন ভূতাত্তিক জরিপ অনুযায়ী, দুপুর ১২টা ২১ মিনিটে এ ভূকম্পন অনুভূত হয়। উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চল মান্দালয়ের সাগাইং শহর থেকে ১৬ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। এলাকাটি রাজধানী নেপিদো থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে। ভূকম্পন এতটাই শক্তিশালী ছিল, প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দূরে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে জোরালো কম্পন অনুভূত হয়।

এ ছাড়া বাংলাদেশ, ভারত, চীন, কম্বোডিয়ায়ও কম্পন অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের কিছুক্ষণ পরই ৬ দশমিক ৪ মাত্রার একটি প্রত্যাঘাত হয়। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি