মিয়ানমারের জেনারেলদের বিচার চায় যুক্তরাষ্ট্র
প্রকাশিত : ১৬:২৬, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১০:১৫, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বেসামরিক রোহিঙ্গাদের হত্যা ও ধর্ষণের মত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় দেশটির সেনা নেতৃত্বকে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হেলি।
বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে নিকি হেলি এ আহ্বান জানান।
নিকি হেলি বলেন, অবশ্যই দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।
রাখাইন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত দেশটিতে অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত রাখতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর যে সদস্যদের বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি জনগণের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৪ আগস্ট রাতে বিদ্রোহীদের হামলার জবাবে নতুন করে রোহিঙ্গা দমন অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তাদের সহিংসতার মুখে এ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ওই অভিযানকে ‘জাতিগত নিধন’ হিসেবে বর্ণনা করে আসছে জাতিসংঘ।
রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন বন্ধে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা আহ্বান জানালেও তাতে মিয়ানমারের সাড়া না মেলায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, সুইডেন, মিশর, সেনেগাল ও কাজাখস্তানের অনুরোধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠকে বসে।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৈঠকে বলেন, রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে রোহিঙ্গাদের উপর চলমান সহিংসতা মধ্যাঞ্চলেও বিস্তৃত হতে পারে। ফলে সেখানেও আড়াই লাখ রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। তিনি রাখাইনে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে অবিলম্বে ত্রাণ সংস্থাগুলোকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার দাবি জানান।
আর/ডব্লিউএন
আরও পড়ুন