ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪

মীর কাসেম আলীর ফাঁসির দণ্ড কার্যকরে চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে

প্রকাশিত : ১৮:১৮, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | আপডেট: ১৮:১৮, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬

যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর ফাঁসির দণ্ড কার্যকরে চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে। শনিবার বেলা ৩ টা ৩৫ মিনিটে পরিবারের ৪৫জন সদস্য তার সাথে দেখা করতে যান কাশিমপুর কারাগারে। রায় কার্যকরের নির্বাহী আদেশ ইতিমধ্যে কারাগারে পৌঁছে গেছে। এদিকে, রায় কার্যকরকে কেন্দ্র করে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার এলাকায় জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে চলছে যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেমের ফাঁসির দণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি। কারাগারে পৌছেছে ফাঁসি কার্যকরের নির্বাহী আদেশ। শনিবার বিকেলে তার সঙ্গে শেষ সাক্ষাৎ করেন পরিবারের ৪৫ সদস্য। বেলা সাড়ে ৩টার পর কারাগারে প্রবেশ করেন তারা।  মীর কাশেমের সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা দু’ঘন্টার বেশি সময় ধরে কথা বলেন। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর ৪০ নম্বর কনডেম সেলে রাখা হয়েছে কাসেম আলীকে। এদিকে, শনিবার সকাল থেকেই কারাগার ও আশপাশের এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। নিয়মিত দর্শনার্থীদের ভেতরে ঢুকতে তল্লাশি করা হচ্ছে কারাফটকে। শনিবার দুপুরের পর পরই কারাগার ঘিরে অবস্থান নেয় র‌্যাব সদস্যরা। কারাগার এলাকায় মোতায়েন আছে সাদা পোশাকের পুলিশ। আগে থেকেই বন্ধ করে করে দেয়া হয়েছে কারাগারের আশে পাশের দোকান পাট। মীর কাসেম রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন না- শুক্রবার এ’ সিদ্ধান্ত জানানোর পর থেকেই কারাগার এলাকায় বাড়ানো হয় নিরাপত্তা। একইসঙ্গে চলতে থাকে ফাঁসি কার্যকরের প্রস্তুতি। এরইমধ্যে প্রধান জল্লাদ শাজাহানসহ কয়েকজন জল্লাদকে কাশিমপুর কারাগারে আনা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিকালে কারাগারের ভেতরে মঞ্চে চূড়ান্ত মহড়ায় অংশ নেন চার জল্লাদ শাহজাহান, দ্বীন ইসলাম, রিপন ও শাহীন। মীর কাসেমের ফাঁসির দণ্ড বহাল রেখে রিভিউ রায়ের পর গত মঙ্গলবার রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি পাঠানো হয় কশিমপুর কারাগারে। পরদিন রায় পড়ে শোনানো হয় তাকে।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি