মুক্তামনির আরও ৬টি অস্ত্রোপচার লাগবে
প্রকাশিত : ১৫:১৪, ১২ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ১৭:১৯, ১৮ আগস্ট ২০১৭
বিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার শিশু মুক্তামনির অস্ত্রোপচার করে তার হাত থেকে তিন কেজি মাংসপিণ্ড ফেলে দেওয়া হয়েছে। এগুলো পরীক্ষার জন্য পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। তার সুস্থ হতে আরও ছয়টি অস্ত্রোপচার করা লাগবে।
শনিবার অপারেশনের পর পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের চিকিৎসক ডা. সামন্ত লাল সেন।
এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মুক্তামনির অস্ত্রোপচার শুরু হয়। ২০ জন চিকিৎসকের একটি দল অস্ত্রোপচার করেন। অস্ত্রোপচার করে তার হাত থেকে তিন কেজি মাংসপিণ্ড ফেলে দেওয়া হয়েছে। এগুলো পরীক্ষার জন্য পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।
ডা. সামন্ত লাল বলেন, অপারেশন সফল হয়েছে। মুক্তামনির জ্ঞান ফিরেছে, কথা বলেছে। তার হাতের ডিজিজ পোরশন (রোগাক্রান্ত অংশ) কেটে ফেলতে আমরা সক্ষম হয়েছি। তবে এক অপারেশনেই এটা শেষ হবে না, আরও অন্তত ছয়টি অপারেশন করা লাগবে।
তিনি জানান, অপারেশনের এ সাফল্য আমাদের একার না। বার্ন ইউনিটসহ জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউ (এনআইসিভিডি) এর সমন্বিত সফলতা এটা। তার হাত ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
ওটি থেকে বের করার পর সে ঝুঁকিমুক্ত আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঝুঁকিমুক্ত কখনোই বলা যাবে না। ডেফিনেটলি ঝুঁকি কমে এসেছে। আমরা এটুকু বলতে পারি, হাতের রোগাক্রান্ত যেটুকু অংশ ফেলে দিয়েছি সেখানে আর এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
এ প্রশ্নের জবাবে ডা. আবুল কালাম বলেন, আমরা যতটা প্রত্যাশা করেছিলাম মুক্তামনি তার থেকেও ভালো আছে। তবে সে ঝুঁকিমুক্ত না। অন্তত ৫-৬ সপ্তাহ সে আমাদের অবজারভেশননে থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালক ড. জুলফিকার লেনিন বলেন, মুক্তামনির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সব সময় খোঁজখবর রেখেছেন। আমাদের দিক থেকে যতদিন প্রয়োজন হবে ততদিন সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। অস্ত্রোপচারে সফল হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
//আর//এআর