ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:১০, ১১ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ১৫:১১, ১১ মার্চ ২০২২

রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের মনস্তাত্ত্বিকভাবে অনুপ্রেরণা, শক্তি ও সাহস যুগিয়েছে যে অস্ত্র, শত্রুকে সার্বক্ষণিক রেখেছে ভীতসন্ত্রস্ত- তা হল স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র। মুক্তিযুদ্ধকে আরও বেশি বেগবান করতে এই বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা ছিলো অপরিসীম।

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র মহান মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় ধরে প্রতিরোধ আর প্রতিশোধের স্পৃহা যুগিয়েছে রণাঙ্গনের মুক্তিসেনাদের। এ দেশের মাটি থেকে পাকিস্তানি জল্লাদ বাহিনীকে বিতাড়িত করতে বেতার কেন্দ্রটি ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের প্রধান অস্ত্র। 

২৬ মার্চ দুপুরে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের বাদামতলী বেতার থেকে প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার বার্তা পাঠ করেন আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান। নিরাপত্তার স্বার্থে ওই দিনই বেতারকেন্দ্রটি সরিয়ে কালুরঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রতিষ্ঠার শুরুতে এর নাম দেয়া হয় স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র।

সেই সময়ের স্মৃতিচারণ করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল।

তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তানিরা যে অপপ্রচার চালাচ্ছিল, এটা ধূলার মত মিলে গেল। কারণ সআধীন বাংলা বেতার থেকে বাংলায় খবর হতো, ইংরেজিতে খবর হতো এমনকী উর্দুতেও খবর প্রচার পাকিস্তানিদের বুঝানোর জন্য।’’

২৮ মার্চ স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্রের নামে পরিবর্তন হয়ে নতুন নাম হয় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র। ৩০ মার্চ পাকিস্তানী বাহিনী বোমা বর্ষণ করলে বন্ধ হয়ে যায় কেন্দ্রটি। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের দ্বিতীয় পর্ব ছিল ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বাগাফা জঙ্গল ও আগরতলায়। তৃতীয় পর্ব শুরু হয় ২৫ মে কলকাতায়। এই পর্বে রচিত হয় কালজয়ী সব গান, নাটক আর কথিকা। 

মনোরঞ্জন ঘোষাল আরও বলেন, বাঙ্গালির প্রতি পাকিস্তানিদের যে আচরণ-শাসন-নিপীড়ন-ধর্ষণ-শিশু হত্যাসহ অমানবিক যত কিছু ছিলো এই স্বাধীন বাংলা বেতার সারা বিশ্বব্যাপি এটা প্রচার করে দিয়েছে।

‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল’, ‘রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি বাংলাদেশের নাম’, ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি’, ‘নোঙর তোল তোল’, ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে’-এ রকম আরও অনেক গান উজ্জীবিত রাখে রনাঙ্গনের মুক্তিসেনাদের। 

এছাড়া, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে প্রচারিত এম আর আখতার মুকুলের লেখা বিশেষ ব্যঙ্গ রচনা চরমপত্র অনুষ্ঠানটিও মুক্তিকামী মানুষের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে কাজ করে।

এমএম/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি