ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪

মুখরোচক করতেই খাবারে মেশানো হচ্ছে রাসায়নিক (ভিডিও)

মাহমুদ হাসান

প্রকাশিত : ১২:১৬, ১৭ জুন ২০২৩

রেঁস্তোরা অথবা রাস্তার পাশে তৈরি মুখরোচক খাবারগুলো কি নিরাপদ? গরমে ফ্রিজে রাখা কোমল পানীয়ই বা কিভাবে তৈরি হচ্ছে? মূলত: খাবারকে মুখরোচক করতেই রান্নার আগে খাবারে মেশানো হচ্ছে নানা ধরনের রাসায়নিক। কোমল পনীয় রঙ আর ফ্লেভারের মিশ্রণ ছাড়া আর কিছুই নয়। এসব গ্রহণে মানবদেহে বাসা বাধছে ক্যান্সার, হার্ট, কিডনির নানা জটিল রোগ। 

ফসল উৎপাদনের পর থেকে খাওয়ার আগ পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়েই তা বিষিয়ে উঠছে। 

রেঁস্তোরা এবং রাস্তার পাশে তৈরি খাবারের মান নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থাই নেই। মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান হলেও নিয়মিত কোনো প্রতিষ্ঠানের তদারকি নেই। আর এরই সুযোগ নিচ্ছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী। 

খাবার মুরোচক করতে রাসায়নিকের ব্যবহার করছেন। আর প্যাকেট ও বোতলজাত পণ্য সংরক্ষণের জন্যও প্রিজারেভেটিভের ব্যবহার রীতিমত ভয়াবহ।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম বলেন, “চিকেন ফ্রাই, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বা ভাজাপোড়া বেশি খাচ্ছি- এগুলোর কারণেই হার্টের রোগ হচ্ছে। পোড়া তেল বার বার ব্যবহার করছে। আগে যেমন নদীর মাছ-সবজি খেতাম ওইভাবে যদি এখনও খেতে পারি তাহলে এই রোগগুলো হবে না। 

র্দীঘদিন ধরে এসব খাবার গ্রহণে ক্যন্সার, কিডনী রোগসহ নানা জটিল রোগের ঝুঁকি রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. আকতারুজ্জামান বলেন, “স্ট্রিড ফুডের মধ্যে অনিরাপত্তাও আছে। অনেক দিনের বাসি-পচা খবার যদি কেউ বিক্রি করে সেটা তো অনিরাপদ। সেটা খেলে নানা অসুখ হতে পারে। জর্দা বা মিষ্টির মধ্যে রঙ দিতেই হবে, জন্মদিনের কেকে রঙ ব্যবহার করতেই হবে- তা নয়, এটা না হলেও চলে। আমরা যেন রঙকে বাদ দেই, এই অভ্যাসটা যেন সবাই করি।”

শুধুই কি ভোক্তারা সচেতন হলেই খাদ্যে নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে? বিশ্লেষকরা বলছেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সরকারকেই ভূমিকা রাখতে হবে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি