ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

মুজিবনগর সরকারের শপথ সুদূরপ্রসারী সাংবিধানিক পদক্ষেপ (ভিডিও)

মানিক শিকদার, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৪, ১৮ মার্চ ২০২৩

বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সুদুরপ্রসারী সাংবিধানিক পদক্ষেপ ছিলো মুজিবনগর সরকারের শপথ। মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে এই সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অস্থায়ী সরকারের বিরুদ্ধে নানা ষড়যস্ত্র থাকলেও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহচর জাতীয় চার নেতার বুদ্ধিমত্তা ও দেশপ্রেমে প্রশস্ত হয় মুক্তির পথ। 

একাত্তরে হানাদার পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাঙালির উপর গণহত্যা শুরু করলে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের নেতারা স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার গঠন করেছিলেন।

১০ এপ্রিল সরকার গঠন। আর ১৪ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় স্বাধীন বাংলাদেশের মন্ত্রিসভা গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু গোপনীয়তা ফাঁস হয়ে যায় এবং পাকিস্তানী বিমান বাহিনী ১৩ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টির মতো বোমা বর্ষণ করে। দখল করে নেয় চুয়াডাঙ্গা শহর। 

ওই বিপর্যয়ের পর প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন সিদ্ধান্ত নেন শপথ গ্রহণের দিনক্ষণ ও স্থান তিনি কাউকে জানাবেন না। পরে ভারত সীমান্তের কাছে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় পাকিস্তানীদের নজর এড়িয়ে ১৭ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় এ সরকারের পথচলা। 

মুজিবনগর সরকারকে গার্ড অব অনার প্রদানকারী দলনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম বলেন, “এটা বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীন সরকার এবং এই সরকারের একটা ভূখণ্ড আছে, পতাকা আছে। এই সরকারকে সুরক্ষিত রাখার জন্য যুদ্ধরত বাহিনী ছিল।”

সরকারের শপথ গ্রহণের পর পরই শুরু হয় সংগঠিত যুদ্ধ। বিমান বাহিনী গঠনের মাধ্যমে স্বাধীনতা ত্বরান্বিত হয়। তবে যুদ্ধ চলাকালে অস্থায়ী সরকারকে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়েছে। 

মুক্তিযুদ্ধে বিমান বাহিনীর বৈমানিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন সাহাবুদ্দিন আহমেদ বীরউত্তম বলেন, “প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন সাহেবের সঙ্গে দেখা করলাম, তাকে আমাদের প্রস্তাবনা বললাম। অনেক কষ্টে, অক্লান্ত পরিশ্রম করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গঠন করার সাফল্য লাভ করলেন।”

চার নেতার ধৈর্য্য, সাহস আর দেশপ্রেমে নয় মাসের যুদ্ধে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ।  

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি