মুসলমানদের জন্য শ্রেষ্ঠ ও ফজিলতপূর্ণ দিন ‘জুম’আ
প্রকাশিত : ১০:১১, ১২ জুলাই ২০১৯ | আপডেট: ১১:৩৯, ১২ জুলাই ২০১৯

আল্লাহ্ তা’আলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘মুমিনগণ,জুমআর দিনে যখন নামাযের আযান দেয়া হয়,তখন তোমরা আল্লাহর ইবাদতের জন্য দ্রুত যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম, যদি তোমরা বুঝ।’ (আল কুরআন;সূরা আল জুমুআহ;০৯)।
উমার (রাঃ) বললেন, ‘এটি যে দিনে এবং যে স্থানে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উপর অবতীর্ণ হয়েছিল তা আমরা জানি; তিনি সেদিন আরাফায় দাঁড়িয়েছিলেন আর সেটা ছিল জুমুআ’র দিন।’-(সহীহ বুখারী;হাদিস নং – ৪৩, ৪৪০৭, ৪৬০৬, ৭২৬৮; সহীহ মুসলিম ৪৩/১, হাদিস নং – ৩০১৭)
● রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘সূর্য উদিত হয় এরুপ দিনগুলোর মধ্যে জুম’আর দিনটিই হল সর্বোত্তম।’
(১) এই দিনেই আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করা হয়েছিল – (আবু দাউদ – ১০৪৬),
(২) এই দিনে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছিল এবং
(৩) এই দিনেই তাকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল – (মুসলিম;জুম’আর নামাজ পর্ব),
(৪) এই দিনে তাকে দুনিয়াতে পাঠানো হয়েছিল,
(৫) এই দিনেই তার তওবা কবুল করা হয়েছিল এবং
(৬) এই দিনেই তার রূহ কবজ করা হয়েছিল – (আবু দাউদ – ১০৪৬),
(৭) এই দিনেই শিঙ্গায় ফুঁক দেওয়া হবে – (আবু দাউদ – ১০৪৭),
(৮) এই দিনেই কিয়ামত হবে – (আবু দাউদ – ১০৪৬),
(৯) এই দিনেই সকলেই বেহুঁশ হয়ে যাবে – (আবু দাউদ – ১০৪৭),
(১০) নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতাগন, আকাশ, পৃথিবী, বাতাস, পর্বত ও সমুদ্র সবই জুম’আর দিনে শংকিত হয়। – (ইবনে মাজাহ – ১০৮৪; মুয়াত্তা ইমাম মালেক)।
● রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘জুম’আর রাতে বা দিনে যে ব্যক্তি ঈমান নিয়ে মারা যায়; আল্লাহ তায়ালা তাকে কবরের আজাব থেকে মুক্তি দিবেন।’-(তিরমিযী;১০৭৮)।
এছাড়াও অসংখ্য ফজিলত রয়েছে জুম্মার দিনে।
এসএ/