ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪

মূলধারার নাগরিকদের সমান সুযোগ পাচ্ছে ছিটমহলবাসী (ভিডিও)

আতাউর রহমান বিপ্লব, কুড়িগ্রাম থেকে

প্রকাশিত : ১২:৩২, ৩১ জুলাই ২০২৩ | আপডেট: ১২:৩৩, ৩১ জুলাই ২০২৩

বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময়ের ৮ বছর পুর্তি আজ। ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মধ্যরাতে দেশের অভ্যন্তরে থাকা ১শ’ ১১টি ছিটমহল বাংলাদেশের মুল ভুখণ্ডের সাথে মিলিত হয়। ৬৮ বছরের দীর্ঘ বন্দী জীবনের অবসান হয় এখানকার মানুষের। মুল ভূখণ্ডের সাথে একীভূত হওয়া মানুষজন উন্নয়নের নানা সুফল ভোগ করতে পেরে খুশী।

২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মধ্যরাতে ছিটমহল বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হয় ভারতের ১১১টি ছিটমহলের নাগরিকরা। 
এর মধ্যে লালমনিরহাটে ৫৯টি, পঞ্চগড়ে ৩৬টি, কুড়িগ্রামে ১২টি ও নীলফামারীতে ৪টি ছিটমহল যুক্ত হয় বাংলাদেশের ভূখণ্ডে। 

অন্যদিকে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের অবস্থান ছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। এর মধ্যে ৪৭টি কোচবিহার এবং ৪টি জলপাইগুড়ি জেলায়। ছিটমহল বিনিময়ে বাংলাদেশ পায় ১৭ হাজার ২শ’ ৫৮ একর জমি এবং ভারত পায় ৭ হাজার ১১০ একর জমি।

সাতচল্লিশের দেশভাগের পর নাগরিক নানা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েন ১৬২টি ছিটমহলের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। ১৯৭৪ সালে ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে ঢাকায় হাসিনা-মনমোহন প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়। পরে বিনিময় হয় ছিটমহলগুলো।

ছিটমহলবাসীরা জানান, ছিটমহল বিনিময়ের পর আমাদের জীবনযাত্রার মান যে উন্নয়ন হয়েছে এটা ভাষায় প্রকাশ করা যায়না।

এক সময় নিজভূমে প্রায় পরাধীন ছিল চিটের বাসিন্দারা। সাত দশক বঞ্চনায় পরিণহ হয়েছিল পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীতে।  গেল আট বছরে বদলে গেছে জীবন।  মাত্র ৮ বছরে পাকা রাস্তা, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, কৃষি ও চিকিৎসা, আইটি ট্রেনিং সেন্টারসহ উন্নয়নের নানা সুফল পেয়ে খুশী এখানকার বাসিন্দারা। 

ছিটবাসীরা বলেন, যে উন্নয়ন হয়েছে সেটা আমরা স্বপ্নেও কল্পনা করিনি। 

উন্নয়নে কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতেও নেয়া হচ্ছে নানা পরিকল্পনা।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, “তারা যাতে উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে, দেশের নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে, স্মার্ট বাংলাদেশে অবদান রাখতে পারে সে ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।”

আজ ছিটমহলের নাগরিকরা মূলধারার ও মূল ভূমির নাগরিকদের সঙ্গে সমান সুযোগ পাচ্ছে। তাদের প্রত্যাশা উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকবে। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি