মৃত মা-বাবার জন্য সন্তানের করণীয়
প্রকাশিত : ১৫:৩৭, ১১ জুন ২০১৯
সন্তানের সার্বক্ষণিক দোয়া পিতামাতার পরকালীন মুক্তির পথ। মৃত্যুর পর ব্যক্তির কিছুই করার থাকে না। হিসাবকালীন অবস্থায় থাকে কবরবাসী। একমাত্র স্বজন বিশেষ করে সন্তানের দান ও প্রার্ধনাই তাদের কল্যাণে আসে।
মা-বাবার মুক্তির জন্য প্রার্থনা করা, তাদের পারলৌকিক কল্যাণের জন্য দান করা, এমনকি তাদের বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে সম্মানজনক আচরণ করা ছেলেমেয়েদের অবশ্য পালনীয় উঁচু মানের সৎকর্মের মধ্যে পড়ে।
সাদ বিন ওবাদা (রা.) আল্লাহর রাসূল (সা.)কে বললেন, আমার মা মৃত কিন্তু তার একটা মানত অপূর্ণ রয়ে গেছে, রাসূল (সা.) বললেন, তার পক্ষ থেকে তুমি তা পূরণ করে দাও (ইবনে আব্বাস থেকে বুখারীতে বর্ণিত)।
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, হযরত আমান (রা.) রাসূল (সা.)কে বললেন, আমার মা হঠাৎ মারা গেছেন। আমার মনে হয় তিনি যদি কথা বলতেন তাহলে দান-খয়রাত সম্পর্কে কিছু বলতেন, আমি কি তার পক্ষ থেকে দান করলে তিনি নেকী পাবেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ পাবেন। (বুখারী)
আবু উসাইদ ইবনে মালিক ইবনে কারিয়া (রা.) হতে বর্ণিত, আবু সালমা গোত্রের একজন রাসূল (সা.)কে বললো, হে আল্লাহর রাসূল, মাতাপিতার মৃত্যুর পর তাদের জন্য কি কোন দায়িত্ব অবশিষ্ট থাকে? তিনি বললেন হ্যাঁ, তুমি তাদের জন্য আশীর্বাদ ও করুণা প্রেরণ করতে পার, তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারো, তাদের শেষ অসিয়ত পালন করতে পারো, তাদের উপর যারা নির্ভরশীল তাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রক্ষা করতে পারো এবং তাদের বন্ধুদের সম্মান দেখাতে পারো। (আবু দাউদ)
আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেন, মহান শক্তিশালী আল্লাহ তার বান্দার দরজা বাড়িয়ে দেবেন। সে যখন তার প্রভুর কাছে জানতে চাইবে কিভাবে তার মর্যাদা বাড়লো, আল্লাহ বলবেন যে তার সন্তান তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছে এ জন্য তার মর্যাদা বাড়ানো হয়েছে। (তিরমিযি)
আমাদের প্রত্যেকেরই আল্লাহর কাছে এমন সন্তান কামনা করা উচিত যারা আমাদের মৃত্যুর পর সব সময় আল্লাহর কাছে আমাদের মুক্তির জন্য প্রার্থনা করবে। ‘হে প্রভু আমাদের এমন সন্তান দান কর যারা আমাদের চক্ষু শীতল করবে, সৎকর্মশীলদের নেতা হবে আর আমাদের ক্ষমার জন্য সবসময় দোয়া করবে।’
তথ্যসূত্র : ডা. আহমদ মরতুজা চৌধুরীর প্রশান্তি ও প্রাচুর্যের সোপান গ্রন্থ।
এএইচ/