ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

মৃত্যু ভয়ে ৮০ বছর চুল কাটেন না যিনি (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০৬, ২৭ আগস্ট ২০২০

এনগুয়েন ভান চিয়েন। ভিয়েতনামের মিকং ডেল্টা এলাকার বাসিন্দা তিনি। বয়স ৯২ বছর। কিন্তু এতো বয়সেও একটি কাজ খুব যত্ন ও সতর্কতার সঙ্গে করে যাচ্ছেন তিনি। আর তা হচ্ছে তার মাথার চুল। ৯২ বছরের জীবনকালে এনগুয়েন চুল কেটেছেন মাত্র ১২ বছর পর্যন্ত। এরপর থেকে গত ৮০ বছর ধরে একবারের জন্যও তিনি চুল কাটেননি।

পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, চুল বড় রাখা তার নিয়মে পরিণত হয়েছে। এখন তার চুল পাঁচ মিটার লম্বা। তার ধারণা তিনি চুল কেটে ফেললে মারা যাবেন।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে, চুল কেটে ফেললে আমার মৃত্যু হবে। আমি মারা যাবো। আর সে কারণে কখনোই চুল কেটে ফেলার ঝুঁকি নেওয়ার সাহস করতে পারিনি।

এনগুয়েন আরও বলেন, ‘আমি শুধু চুলের যত্ন নিয়েছি, চুল নষ্ট যেন না হয়ে যায়, সেজন্য ঢেকে রাখি। মাঝেমাঝেই পরিষ্কার রাখি, যেন দেখতে ভালো লাগে।’

তিনি জানান, কাটা-ছাঁটা তো দূরের কথা পাঁচ মিটার লম্বা চুলে তিনি তেল-শ্যাম্পু-চিরুনি কিছুই লাগান না। এমনকী ঝুঁটি বেঁধে ঝুঁকিও নেন না তিনি। শুকনো এবং পরিষ্কার রাখার জন্য শুধু একটি গেরুয়া রঙের কাপড়ে সেই চুল ঢেকে রাখেন। তিনি নয়টি প্রাকৃতিক শক্তি এবং সাত দেবদেবীর উপাসনাও করেন। তবে, সবচেয়ে বড় ধর্মপালন  তাঁর চুল বাড়তে দেওয়া বলেই মনে করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘স্কুলে যাওয়া শুরু করার পর চুল কেটে ফেলার চাপ আসে। কিন্তু পরে আর আমি চুল কাটিনি। আমি মনে করি চুলের সঙ্গে মৃত্যুর একটা সম্পর্ক আছে।’

ভিয়েতনামের রাজধানী হো চি মিন সিটি থেকে পশ্চিমে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে এক গ্রামে থাকেন চিয়েন। তিনি জানিয়েছেন স্কুল ছাড়ার পরই চুল রাখার বিষয়ে দৈব নির্দেশ পেয়েছিলেন তিনি। জানিয়েছেন আগে তাঁর চুল ছিল কালো এবং ঘন। তিনি নিয়মিত সেই চুল মসৃণ করার জন্য আঁচড়াতেন। কখনও বাঁধতেনও। কিন্তু, স্বপ্নাদেশ পাওয়ার পর রাতারাতি তা শক্ত হয়ে উঠেছিল। এখন তাঁর এই দৈত্যাকৃতির চুলের গোছা সামলাতে সহায়তা করেন চিয়ানের পঞ্চম ছেলে লুম। ৬২ বছরের লুমও মনে করেন চুলের সঙ্গে মৃত্যুর সরাসরি সংযোগ রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, একবার তাঁর এক পরিচিত ব্যক্তি চুল কাটতে যেতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
সূত্র : রয়টার্স

এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি