ঢাকা, রবিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে পঞ্চগড়-চুয়াডাঙ্গা

প্রতিনিধিদের খবর

প্রকাশিত : ০৯:৫৯, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ১০:০০, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

Ekushey Television Ltd.

শুরু হয়েছে মৌসুমের প্রথম মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশা, হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন। উত্তর থেকে বয়ে আসা বাতাস শীতের তীব্রতা আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

আজ শনিবার সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বাতাসের আদ্রতা ৯৭%। গতকাল শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বাতাসের আদ্রতা ৮৮%।

তীব্র শীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষ। দিনমজুরদের জন্য স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে, ফলে তাদের আয়ের উৎসও হুমকির মুখে পড়ছে। শীত নিবারণের জন্য পুরাতন কাপড়ের দোকানে ভিড় জমাচ্ছে নিম্নআয়ের মানুষরা। 

কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। শীত বাড়ায় চুয়াডাঙ্গায় ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগে শিশু ও বয়স্কদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। শয্যা সংকটের কারণে অনেক শিশু ও বয়স্কদেরকে হাসপাতালের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানিয়েছেন, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে সারাদিন আকাশ মেঘলা আছে। তবে মেঘলা আকাশ কেটে গেলে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে আরও কমে যাবে, যা শীতের তীব্রতাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। 

এদিকে, প্রতিদিনই তাপমাত্রার পারদ নিম্নমুখী হওয়ায় পঞ্চগড়ে শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। রাতভর ঘন কুয়াশা, হিমেল বাতাস আর হাড় কাঁপানো শীতে নাস্তানাবুদ হয়ে পড়েছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের জনজীবন। 

গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা পারদ ৮ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকলেও আজ শনিবার সকাল ৯টায় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। এতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিয়েছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানায়, গতকাল জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ শনিবার সকাল ছয়টায় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে বাতাসের আদ্রতা।

তাপমাত্রার পারদ কমে যাওয়ায় কনকনে শীতে কাঁপছে এ জেলার মানুষ। রাতভর বৃষ্টির মতো ঝরেছে বরফ শিশির। কনকনে শীতের সঙ্গে বরফের মতো ঠান্ডা বাতাসে কাবু করে তুলছে স্থানীয়দের। শুকনো কাঠ খড়ি জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা যায়। 

কয়েক দিনের ঘনকুয়াশা ও দিনে সুর্য্যের মুখ না দেখা যাওয়ায় গাইবান্ধায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। বিশেষ করে গাইবান্ধার তিন নদীর চরাঞ্চলের অবস্থা কাহিল  কামারজানি, মোল্লারচর, কাপাসিয়া, বেলকা, হরিপুরের চরাঞ্চলের মানুষের শীতবস্ত্রের তীব্র অভাব। এসব এলাকার লোকজন সন্ধ্যা ও সকাল বেলা খড়কুটো জালিয়ে শীত নিবারণ করেন। রাতের বেলা ঘরের মধ্যে সবাই একই কাঁথার নিচে শুয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি