মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে পঞ্চগড়-চুয়াডাঙ্গা
প্রকাশিত : ১০:৪০, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
টানা তিনদিন ধরে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, প্রতিদিনই শীতের তীব্রতা বাড়ছে উত্তরের জেলাগুলোতে। দুর্ভোগ বেড়েছে সাধারণ মানুষের।
পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। দুর্ভোগে পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষ। গত সাতদিন ধরে জেলায় ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ওঠানামা করছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে শনিবার সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চুয়াডাঙ্গায় হিমেল হাওয়া ও কুয়াশায় বাড়ছে শীতের তীব্রতা। ঠাণ্ডা বাতাসে দিশেহারা হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষ। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষ। তাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। আজ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীতে কাহিল গাইবান্ধার সাত উপজেলার গ্রাম ও শহরের দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষ। বিশেষ করে যারা অন্যের বাড়িতে কাজ করে ও রিক্সা এবং অটোরিক্সা চালায় এরকম মানুষের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়েছে।
মেহেরপুরে ক্রমশ শীত আসতে শুরু করেছে। তাপমাত্রাও কমছে। সাথে রয়েছে উত্তরের হালকা হিমেল হাওয়া। রাত থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত হালকা কুয়াশাছন্ন থাকছে আকাশ। গেল দুই দিন ধরে তাপমাত্রার এই অবস্থা। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে কমে যাচ্ছে শীত।
রংপুরে প্রচণ্ড শীত অব্যাহত রয়েছে। তাপমাত্রা প্রতিদিনই কমছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করলেও হিমেল বাতাস শীতের তীব্রতাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। সেই সাথে ঘনকুয়াশার কারণে কাছের জিনিষকেও দেখা যায়না।
দিনের বেলাতেও কুয়াশার কারণে হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছে।
এএইচ
আরও পড়ুন