মেদ কমাতে কুলস্কাল্পটিং পদ্ধতি ভিএলসিসির
প্রকাশিত : ০৩:৩১, ৪ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ১১:৪৬, ৪ আগস্ট ২০১৮
স্থুলতা বা মেদ নিয়ে যারা চিন্তিত তাদের জন্য সুখবর। খাবারের ওপর খুব একটা নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই মেদ বা স্থুলতা কমানোর জন্য ‘কুলস্কাল্পটিং’ নামক চিকিৎসা পদ্ধতির চালু করেছে ভিএলসিসি। এফডিএ অনুমোদিত বিনা সার্জারির এই পদ্ধতির চিকিৎসা বাংলাদেশে চালু করেছে সৌন্দর্য্য এবং সুস্বাস্থ্য বিষয়ক বিশ্বব্যাপী সমাদৃত ব্র্যান্ড ভিলসিসি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এই চিকিৎসা পদ্ধতির সেবার আনুষ্ঠানিক উনোমচন করে ভারত ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ভিএলসিসি। আনুষ্ঠানিকভাবে এই সেবা চালুর ঘোষণা দেন প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ইস্ট রিজিয়ন অঞ্চলের প্রধান ডা. শীকান্তা দাস।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয় যে, সার্জারি ছাড়া শরীরের মেদবিশিষ্ট অংশের কোষগুলোকে ঠান্ডা করে মেদের জন্য দায়ী কোষগুলোকে নষ্ট করা হয় এই পদ্ধতিতে। একারণেই এই চিকিৎসা সেবার নাম কুলস্কাল্পটিং বলে জানায় ভিলসিসি। তবে এই পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট অংশের বাইরে অন্য কোন কোষ বা টিস্যুর ওপর কোন প্রভাব বলেও অনুষ্ঠানে জানায় প্রতিষ্ঠানটি। আর এই চিকিৎসা পদ্ধতি যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) কর্তৃক অনুমোদিত বলে দাবি প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের।
অনুষ্ঠানে ডাঃ শ্রীকান্তা দাস বলেন, “বিগত কয়েক বছর ধরে দক্ষিণ এশিয়ায় ভিএলসিসি’র অবস্থান দৃঢ় হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত আগামীর পথে এগিয়ে চলেছে। বিশেষত বাংলাদেশে এই প্রবৃদ্ধি লক্ষণীয়। বর্তমানে গুলশান ও ধানমন্ডিতে আমাদের দুইটি সেন্টার রয়েছে। ভিএলসিসি গ্রাহকদের জন্য প্রতিনিয়ত অভিনব কিছু করার সাথে সাথে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে আসছে। এখানেই আমাদের মূল শক্তি। তাই ঢাকার গ্রাহকদের কাছে কুলস্কাল্পটিং ট্রিটমেন্ট নিয়ে আসতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। কুলস্কাল্পটিং বলিউড এবং টলিউড সেলিব্রেটিদের মাঝে খুবই জনপ্রিয়। এর মাধ্যমে মূলত পেট, থাই, কোমরসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে বিদ্যমান অবাঞ্ছিত মেদ ঝড়িয়ে ফেলা হয়। চিকিৎসা গ্রহণের দুই সপ্তাহের মধ্যেই দেখতে পাওয়া যায় কুলস্কাল্পটিংয়ের ফলাফল।”
বাংলাদেশের বাজার সম্পর্কে ডা. শ্রীকান্তা আরও বলেন, “বাংলাদেশের বাজার প্রচুর সম্ভাবনাময়। প্রতিনিয়ত এদেশের মানুষ শারীরিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি সামগ্রিক সুসাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন হচ্ছেন। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সৌন্দর্য এবং সুস্বাস্থ্য সংক্রান্ত সেবা পূরণে ভবিষ্যতে আমরা আরও তিনটি কেন্দ্র স্থাপন করব।”
এসময় এই চিকিৎসা পদ্ধতির খরচ সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. দাস বলেন, "যিনি চিকিৎসা নিতে আসবেন তার শারীরিক অবস্থা এবং তার ওপর ভিত্তি করে তার জন্য মোট কতটি সেশনে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে তার ওপরে চিকিৎসা ব্যয় নির্ভর করবে। তাই রোগীকে প্রাথমিকভাবে অ্যাসেজ না করে মূল্য নির্ধারণ করা যাবে না। তবে এই অ্যাসেজের জন্য আমরা কোন ফি নেই না। যারা আগ্রহী তারা চাইলে পুরো বিষয়টি সম্পর্কে আগে ভাগেই জেনে নিতে পারবেন"।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের উদ্দেশ্যে সঙ্গীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় শিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ এবং তার ছেলে সংগীত শিল্পী এবং কম্পোজার হাবিব ওয়াহিদ।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৯ সালে ভারতের শ্রীমতি বন্দনা লুথরার হাত ধরে গড়ে ওঠে ভিএলসিসি বিউটি এন্ড স্লিমিং সার্ভিসেস সেন্টার। বর্তমানে সৌন্দর্য এবং সুস্বাস্থ্য বিষয়ক পণ্য ও সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রাহকদের কাছে অত্যন্ত আস্থাভাজন এবং সুপরিচিত ভিএলসিসি। দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, জিসিসি অঞ্চল এবং পূর্ব আফ্রিকার ১৪টি দেশে দেড়শ’রও বেশি শহরে কার্যক্রম পরিচালনা করে ভিলসিসি। তাদের শাখার সংখ্যা প্রায় ৩৩০টি। কার্যক্রমের আওতাধীন দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ওমান, কাতার, বাহরাইন, কুয়েত, কেনিয়া, ভারত, শ্রীলংকা, বাংলাদেশ, নেপাল, মালয়েশিয়া, সিংগাপুর এবং থাইল্যান্ড।
//এস এইচ এস//