মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্তের অজানা ১০ কারণ
প্রকাশিত : ১৬:৫৪, ২৭ জুলাই ২০১৯ | আপডেট: ১৬:৫৭, ২৭ জুলাই ২০১৯
শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ মেরুদণ্ড। মেরুদণ্ডে কোন রকম সমস্যা হলেই ওঠা, বসা, দাঁড়ানো— সবকিছুতে কষ্ট হতে পারে। এমনকি শিরদাঁড়া বা মেরুদণ্ডে গুরুতর সমস্যা হলে তা মানুষকে পঙ্গু করে দিতেও পারে।
দৈনন্দিন ব্যস্ততার চাপে শিরদাঁড়া বা মেরুদণ্ডের নানা সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। এই সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। সারাদিনের কাজকর্মের মধ্যে আমাদের বেশ কিছু ভুল বা খারাপ অভ্যাসের কারণে শিরদাঁড়া বা মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এবার জেনে নেওয়া যাক এমন কয়েকটি অভ্যাস যা মেরুদণ্ডের ক্ষতি করছে-
১. আপনি কি সারাদিন এক জায়গায় বসে কাজ করেন? দীর্ঘদিন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা এভাবে কাজ করতে হলে শিরদাঁড়া বা মেরুদণ্ডের সমস্যা হতেই পারে।
২. যদি দীর্ঘদিন, নিয়মিত মাত্রাতিরিক্ত কাজের চাপে পর্যাপ্ত বিশ্রাম না হয়, সে ক্ষেত্রে মেরুদণ্ডের সমস্যা হতে পারে।
৩. নিয়মিত হাই হিল পরার অভ্যাস বা শক্ত জুতো পরার অভ্যাস মেরুদণ্ডে অস্বাভাবিক চাপ সৃষ্টি করে। এর থেকে পরবর্তীকালে মেরুদণ্ডে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে।
৪. খুব ভারি ব্যাগ (যেমন- ল্যাপটপ ব্যাগ, বইয়ের ব্যাগ বা অন্য ভারি জিনিসপত্র) নিয়মিত পিঠে নিলে কাঁধে আর পিঠে অতিরিক্ত চাপ পড়ে মেরুদণ্ডে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৫. পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাবে যেমন শিরদাঁড়ার সমস্যা হতে পারে, তেমনই অতিরিক্ত বিশ্রাম, আলস্যের ফলেও মেরুদণ্ডের সমস্যা হতে পারে।
৬. ঘুমানোর সময় অনেকেই অদ্ভুত ভঙ্গিতে শুয়ে থাকেন। অস্বাভাবিক ভঙ্গিতে পিঠ, কোমর বেঁকিয়ে শোয়ার অভ্যাস মেরুদণ্ডের ক্ষতি করে।
৭. দীর্ঘক্ষণ ঝুঁকে বসে মোবাইলে চ্যাট বা ল্যাপটপে ব্যস্ত থাকলে মেরুদণ্ডে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। পরবর্তীকালে এর ফলে মেরুদণ্ডে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে।
৮. দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ি বা বাইকে ড্রাইভ করলে মেরুদণ্ডের সমস্যা হতে পারে।
৯. আচমকা খুব ভারী জিনিস তোলার চেষ্টায় টান পড়ে মেরুদণ্ডে চোট লাগতে পারে।
১০. খুব শক্ত, অসমান বিছানায় দীর্ঘদিন ধরে শুলেও মেরুদণ্ডের সমস্যা হতে পারে।
এএইচ/আরকে