ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

মোদীর গাড়ি তল্লাশির দাবি মমতার

প্রকাশিত : ১২:০০, ১২ মে ২০১৯ | আপডেট: ১৩:৪৭, ১২ মে ২০১৯

ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচনের ৬ষ্ঠ দফার ভোট গ্রহন। ৬ রাজ্যের ৫৯টি আসনে হচ্ছে এ নির্বাচন।  ভোট শুরুর এ মৌসুমে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ত্রিমুখী বাকযুদ্ধ এখন আলোচনার শীর্ষে।

গেল বৃহস্পতিবার বিজেপি নেতার বাক্স ভর্তি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় প্রধামন্ত্রী নরেদ্র মোদী ও পশ্চিম বঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাঝে চলছে বাকযুদ্ধ।

পশ্চিমবঙ্গে অবৈধ ভোট কেনার বিরুদ্ধে নেতাকর্মীদের রাত জেগে পাহারা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। এবার প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী-সহ সকলের গাড়িই তল্লাশি করার দাবি তুলেছেন তিনি।

বিজেপি নেতারা ভোটারদের প্রভাবিত করতে টাকার বাক্স নিয়ে ঘুরছেন বলে বেশ কয়েক দিন ধরেই অভিযোগ করছেন মমতা। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচন সফর চলাকালীন তার বিমান থেকে একটি কালো ট্রাঙ্ক নামানোর ঘটনা নিয়ে বিতর্ক বাধে। নির্বাচন কমিশনের এক অফিসার কেন ওই ট্রাঙ্ক ‘পরীক্ষা’ করেছেন, তার জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়।

এই সব ঘটনার প্রেক্ষিতে তৃণমূল নেত্রী বিজেপির বিরুদ্ধে টাকা ছড়িয়ে ভোট কেনার অভিযোগ তুলছেন। দলের কর্মীদের বলছেন, ভোটের আগের রাতে পাহারায় থাকতে।

শনিবার ষষ্ঠ দফা ভোটের আগের দিন হাসনাবাদ, বসিরহাটের প্রচারসভায় মমতা বলেন, ‘‘প্রশাসনকে বলেছি, আমার গাড়ি, হেলিকপ্টারও পরীক্ষা করুন। সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এবং দিল্লি থেকে আসা যে কোনও নেতার গাড়ি, হেলিকপ্টারও তল্লাশি করা হোক।

কাউকে ছাড়বেন না দেয়ার আহব্বান জানিয়ে তিনি বলেন. এমনকি, ভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের গাড়িও যেন তল্লাশি  থেকে রেহাই না পায়, সে দিকে খেয়াল রাখুন। খবর আনন্দ বাজার পত্রিকার।

পুলিশি নিরাপত্তায় থাকা নেতা-মন্ত্রীদের গাড়িতে হিসেব বহির্ভূত টাকা থাকলেও তা তল্লাশি না হওয়ায় পুলিশের নজর এড়িয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

মমতার বক্তব্য, ‘‘ওয়াই, জেড নিরাপত্তায় থাকা গাড়িতে করে টাকা যাচ্ছে। একটাও গাড়ি বাদ দেবেন না।’’ এই টাকা ধরার কাজে রাজ্যের পুলিশের পাশাপাশি সীমান্তরক্ষী বাহিনীকেও ‘সক্রিয়’ হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। ভোটারদের কাছে তাঁর পরামর্শ, ‘‘সীমান্তগুলো খেয়াল রাখবেন। সীমান্ত দিয়েই টাকা ঢোকানো হচ্ছে।’’

একই সঙ্গে বহিরাগতদের এনে এলাকার ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও এ দিন অভিযোগের তীর ছুড়েন মমতা। দিন কয়েক আগে কাঁথিতে উত্তরপ্রদেশ থেকে ঢোকা ১০ জন বহিরাগতকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।

ভোটের মধ্যে কিভাবে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা করেন তিনি।

বিএসএফ-এর কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘‘আপনারা বিজেপিকে প্রশ্রয় দেবেন না। আপনারা আপনাদের কাজ করুন। পাচার সামলান। বিজেপিকে সীমান্ত দিয়ে ঢুকতে দেবেন না।’’ একই সঙ্গে রাজ্যের ভোটারদেরও সতর্ক করে মমতার পরামর্শ দেন তৃণমূলের এ নেত্রী। এদিকে, বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ও হামলা, ভাঙচূড়ের মধ্য দিয়ে চলছে ষষ্ঠ দফার ভোট গ্রহণ।

 আই//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি