মোবাইল, ইন্টারনেট ও ওষুধে বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহার
প্রকাশিত : ১৬:১৫, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | আপডেট: ১৬:২৩, ২২ জানুয়ারি ২০২৫
মোবাইল, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ও ওষুধের ওপর নতুন করে আরোপিত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বেশ কয়েকটি পণ্য ও সেবায় ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সংস্থাটি।
এতে বলা হয়, দেশের চলমান ডিজিটাইজেশন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা ও একটি আধুনিক আইটি জ্ঞানসম্পন্ন তরুণ প্রজন্ম বির্নিমাণ এবং অনলাইনভিত্তিক কর্মকান্ড বৃদ্ধির লক্ষ্যে মোবাইল ফোনের সিম/রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে প্রদত্ত সেবার ওপর বর্ধিত সম্পূরক শুল্ক এবং আইএসপি সেবার ওপর নতুন আরোপিত সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মোবাইল ফোন ও আইএসপি সেবার উপর বর্ধিত বা নতুন আরোপিত সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করায় এই দুই খাতে ভোক্তাদের খরচ বাড়বে না।
এছাড়া ওষুধ, তৈরি পোশাক, রেস্টুরেন্ট, গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপ খাতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি অপারেটর ও গ্রাহকের আপত্তির মধ্যেই খরচ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে। প্রথমবারের মতো ব্রডব্যান্ড সেবায় ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এ নির্দেশনা বাস্তবায়িত হলে ৫শ’ টাকার সংযোগে গ্রাহককে বাড়তি গুণতে হত অন্তত ৭৭ টাকা।
আর মোবাইল সেবায় অতিরিক্ত ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করায় ১০০ টাকার রিচার্জে কর দিতে হতো ৫৬ টাকার বেশি। এতে সম্পূরক শুল্ক, ভ্যাট ও সারচার্জ মিলিয়ে ২৮ টাকা ১০ পয়সার পরিবর্তে দিতে হত ২৯ টাকা ৮০ পয়সা। সবমিলিয়ে ১০০ টাকায় সরকার পেত ৫৬ টাকা ৩০ পয়সা।
এদিকে, ওষুধ শিল্পের ওপর ব্যবসায়িক পর্যায়ে বৃদ্ধিকৃত ভ্যাটের হার সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে আগের হার ২ দশমিক ৪ শতাংশ বহাল করা হয়েছে। ওষুধের ওপর অতিরিক্ত আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহার করায় ওষুধ শিল্পের ধারাবাহিক বিকাশ বজায় থাকবে এবং সাধারণ ভোক্তা পর্যায়ে ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি পাবে না বলে মনে করছে এনবিআর।
পোশাক বিপণনের ওপর থেকেও আরোপিত অতিরিক্ত ভ্যাট সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করেছে এনবিআর। এছাড়া, নন এসি হোটেল, মিষ্টান্ন ভান্ডার, ও নিজস্ব ব্র্যান্ডের তৈরি পোষাক বিপণনের ক্ষেত্রে সেবার ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশ হতে হ্রাস করে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে সংস্থাটি।
এএইচ
আরও পড়ুন