মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবে ৩ লাখ টাকার বেশি নয়
প্রকাশিত : ২১:২৬, ৬ নভেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ২২:১৫, ৬ নভেম্বর ২০১৭
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গ্রাহকরা এখন থেকে ব্যক্তিগত মোবাইল হিসাবে ৩ লাখ টাকার বেশি রাখতে পারবেন না। বর্তমানে যে সকল গ্রাহকের মোবাইল হিসাবে ৩ লাখ টাকার বেশি রয়েছে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তা কমিয়ে আনার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি মোবাইল সেবা প্রদানকারি ব্যাংক ও তার সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কাছেও এ সংক্রান্ত বার্তা পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল ফিনান্সিাল সার্ভিসেস এর অপব্যবহার রোধ এবং শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আওতায় হিসাব খোলা ও পরিচালনা এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে আরোও বেশি নজরদারি করা হবে।
একটি জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে একটি মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে একটি মাত্র অ্যাকাউন্ট চালু রাখা যাবে বলে এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে জারি করা সার্কুলারে বলা হয়। এতে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১৫ হাজার এবং মাসে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা জমা (ক্যাশ ইন) করার কথা বলা হয়। এছাড়া প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা এবং মাসে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন (ক্যাশ আউট) করা যাবে। আগে প্রতিদিন ২৫ হাজার এবং মাসে দেড় লাখ টাকা ক্যাশইন ও ক্যাশ আউট করা যেতো।
ওই সার্কুলারে আরও বলা হয়, দিনে সর্বোচ্চ ২ বার ক্যাশ ইন করা যাবে, আগে ক্যাশ ইন করা যেতো ৫ বার। তবে মাসিক ক্যাশ ইন সংখ্যা ২০ বার অপরিবর্তিত রাখা হয়। এছাড়া ক্যাশ আউটের সংখ্যা ৩ বার থেকে কমিয়ে দিনে ২ বার এবং মাসে ১০ বার অপরিবর্তিত রাখা হয়। এছাড়া টাকা ক্যাশইন করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৫ হাজার টাকার বেশি ক্যাশ আউট করা যাবে না। কোনো মোবাইল হিসাবে ৫ হাজার টাকার বেশি ক্যাশ ইন ও ক্যাশ আউট করতে হলে গ্রাহককে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখাতে হবে এবং এজেন্ট ওই পরিচয়পত্রের নম্বর রেজিস্টার খাতায় লিখে রাখবেন। ক্যাশ ইন ও ক্যাশ আউটের আলাদা রেজিস্ট্রার খাতায় গ্রাহকের স্বাক্ষর বা টিপসই রাখতে হবে। এই নির্দেশগুলো পরিপালন না করলেও এজেন্টশিপ বাতিল করতে হবে। এজন্য এজেন্টদের প্রতি নজরদারি বাড়াতে হবে।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সন্ত্রাসে ও জঙ্গি কার্যক্রমে অর্থায়ন, মানবপাচার ও মাদক ব্যবসায়ীদের অর্থ লেনদেনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এম/ডব্লিউএন
আরও পড়ুন