যমুনা রেলসেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে আজ
প্রকাশিত : ১১:১৮, ৫ জানুয়ারি ২০২৫
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর যমুনা নদীর ওপর নির্মিত দেশের সবচেয়ে বড় রেলওয়ে সেতুর ওপর দিয়ে পূর্ণ গতিতে চলবে ট্রেন। আজ রোববার ও আগামীকাল সোমবার সকালে পরীক্ষামূলকভাবে দুটি ট্রেন সেতু পূর্ব থেকে পশ্চিম ও পশ্চিম থেকে পূর্বপাড়ে চলাচল করবে।
শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যমুনা নদীর ওপরে নির্মিত রেলওয়ে সেতুটির প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসউদুর রহমান।
তিনি বলেন, এর আগে গত ২৬ নভেম্বর আমরা সর্বোচ্চ ৪০ কি.মি গতিসীমায় রেলওয়ে সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালিয়েছে। রোববার পূর্ণ গতি দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানো হবে।
রেলওয়ে সেতুটির প্রকল্প পরিচালক বলেন, আমরা মূলত রোববার ও সোমবার এ দুদিন সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালিয়ে দেখবো সেতুটি পূর্ণ গতিতে ট্রেন চালানোর জন্য প্রস্তুত কিনা বা কোথাও কোনো সমস্যা ধরা পড়ে কিনা। যদি না পড়ে তাহলে ভালো। আর যদি কোথাও আমাদের কাছে সমস্যার মনে হয় সেটি ঠিক করা হবে।
আল ফাত্তাহ বলেন, এ সময় রেলওয়ে সেতুর পূর্ব পাড় থেকে একটি ও পশ্চিম পাড় থেকে আরেকটি ট্রেন অপর প্রান্তে যাতায়াত করবে। অর্থাৎ দুটি লাইনে দুটি আলাদা ট্রেন চলাচল করবে।
তিনি আরও বলেন, রোববার আমরা উপস্থিত থেকে পরীক্ষা করব এবং পরেরদিন (সোমবার) রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও আমাদের সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন।
সেতু উদ্বোধনের ব্যাপারে তিনি বলেন, পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল সফল হলে এরপর আমরা সকল কাগজপত্র জমা করব। সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ উদ্বোধনের সময় নির্ধারণ করবেন। সেটা আগামী মাসের (ফেব্রুয়ারি) মাঝামাঝি বা শেষের দিকে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের আগস্ট মাসে ৯ হাজার ৭৩৪ দশমিক ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে এ ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা। যার ১২ হাজার ১৪৯ দশমিক ২ কোটি টাকা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ হিসেবে দিয়েছেন।
এ প্রকল্পের মূল নির্ধারিত সময় ছিল জুলাই ২০১৬ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩। কিন্তু প্রথম সংশোধনে এ সময়সীমা ডিসেম্বর ২০২৪ এ স্থানান্তরিত করা হয়। এর আগে ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদ দেয়।
এরপর গত ২৬ নভেম্বর সর্বোচ্চ ৪০ কি.মি গতিসীমায় রেলওয়ে সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম ট্রেন চলে।
এএইচ