ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

যশোর রোডের গাছগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার আহ্বান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:১০, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২২:৩৮, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮

যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করতে ঐতিহাসিক যশোর রোডের শতবর্ষী প্রায় আড়াই হাজার গাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন অনেকেই। ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় গাছগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার আহ্বান তাদের। তবে ভিন্ন মতও আছে। গাছ কাটার পক্ষে যাদের অবস্থান, তাদের যুক্তি, গাছগুলোর বয়স হয়েছে। ঝড়ে ডাল ভেঙে মানুষ আহত হয়, বন্ধ হয় রাস্তা, তাই কেটে ফেলাই উচিত।

ঐতিহাসিক যশোর রোড। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অংশ। সড়কটি নির্মাণের পেছনেও আছে আরেক ইতিহাস। ১৮৪০ সালে যশোরের বকচরের জমিদার কালী পোদ্দার মায়ের গঙ্গাস্নান যাত্রা আরামদায়ক করতে নদীয়ার গঙ্গাঘাট পর্যন্ত সড়কটি নির্মাণ করেন। পরে ১৮৪২ সালে সড়কে ছায়া দিতে দু’ধারে লাগান রেইনট্রি বা ফুলকড়ইয়ের চারা। সেই চারাগুলো বৃক্ষ হয়ে আজো ছায়া দিচ্ছে যশোর-বেনাপোল সড়কে।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মার্কিন কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ যশোর সীমান্ত ও এর আশপাশের শরণার্থী শিবিরগুলো দেখে, অভিজ্ঞতা থেকে লিখেন বিখ্যাত কবিতা ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’। বব ডিলান ও অন্যান্য গায়করা সেই কবিতাখানিই গানে রূপ দিয়ে শরনার্থীদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন।

সড়কটি এখন ব্যস্ত মহাসড়ক। সবচে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল থেকে প্রতিদিন বের হচ্ছে হাজার হাজার পণ্যবাহী ট্রাক। প্রয়োজন পড়েছে ব্যস্ত মহাসড়কটিকে চার লেনে উন্নীত করার। গেলো ৬ জানুয়ারি বৃক্ষ অপসারণবিষয়ক সভা থেকে শতবর্ষী দুই হাজার ৩১২টি গাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।

এসএইচ/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি