যশোরের নারীকে সৌদিতে বিক্রি, স্বামীর নামে মামলা
প্রকাশিত : ১০:২৬, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩
যশোরের চৌগাছা উপজেলার দক্ষিণ সাগর গ্রামের এক নারীকে (৩২) সৌদি আরবে পাচার ও বিক্রির অভিযোগে তার স্বামীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
আদালতের আদেশে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে সোমবার যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়। ওই মামলার বাদী ভুক্তভোগী ওই নারী।
আসামিরা হলেন বাঘারপাড়া উপজেলার নরসিংহপুর গ্রামের মৃত ছবেদ আলী মোল্লার ছেলে জাকির হোসেন, তার স্ত্রী জাহানারা খাতুন ও মেয়ে লাকি।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, তিনি স্বামী পরিত্যক্তা ছিলেন। উল্লেখিত আসামিরা পূর্ব পরিচিত হওয়ায় তারা সম্পদ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে সু-সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরই এক পর্যায়ে আসামি জাকির হোসেনের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে তিনি তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর অর্থ সম্পদ, স্বর্ণালঙ্কার ও আসবাবপত্র নিয়ে স্বামীর বাড়িতে যান তিনি।
সেখানে বসবাসের এক পর্যায়ে স্বামী-স্ত্রী সৌদি আরবে গিয়ে অধিক টাকা আয় করার প্রলোভন দেখান আসামিরা। তাদের প্রলোভনে পড়ে আসামি জাকির হোসেনের সাথে ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর সৌদি আরব যাই। রিয়াদ বিমান বন্দরে নামার পর অজ্ঞাত দুই ব্যক্তির সঙ্গে অজ্ঞাত একটি স্থানে যান। সেখানকার একটি ঘরে অজ্ঞাত ওই দুই ব্যক্তির সঙ্গে ভুক্তভোগী নারীকে রেখে খাবার আনার কথা বলে বাইরে চলে যান জাকির হোসেন। কিন্তু আর ফিরে না আসেননি তিনি।
পরে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদ্বয়ের কাছে ভুক্তভোগী নারী জানতে পারেন, তাকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এরপর অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদ্বয় তার সাথে জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক স্থাপন এবং এ ধরনের কাজ করতে বাধ্য করতেন।
৯ মাস পর ভুক্তভোগী নারী কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরে আসেন।
পরবর্তীতে তিনি স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাকে তালাক দিয়েছে মর্মে একটি নোটিশ দেখান এবং ওই নারীকে তাড়িয়ে দেন। এরপর তিনি থানাড মামলা করতে যান।
থানা পুলিশের পরামর্শে তিনি গত ২৭ নভেম্বর আদালতে পিটিশন দাখিল করেন। পরে আদালতের নির্দেশে থানা পুলিশ সোমবার তার পিটিশনটি নিয়মিত মামলা হিসাবে রেকর্ড করে।
এএইচ
আরও পড়ুন