যাত্রীবেশী অপহরণ চক্রের হোতাসহ ৯ সদস্য গ্রেফতার
প্রকাশিত : ১৭:১৯, ২ ডিসেম্বর ২০১৮
ডাকাতি, অপহরণ, নারী শ্লীলতাহানী, ছিনতাই, গাড়ি চুরিসহ যাত্রীবেশী সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের মূল হোতাসহ ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
শনিবার রাজধানীর আবদ্ল্লাহপুর ও আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, একটি ম্যাগাজিন, দুই রাউন্ড গুলি, পাঁচটি ধারালো অস্ত্র ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুটি বাস জব্দ করা হয়েছে।
রবিবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান এসব তথ্য জানান।
র্যাবের হাতে আটক ৯ সদস্য হলেন- মো. ইমরান (২১), জিহাদ আলী (১৮), মো. শান্ত হোসেন (১৯), রকিবুল হাসান (১৮), নাঈম মিয়া (১৯), জুলহাস হোসেন (১৮), বাবুল হোসেন (২২), হাবিবুর রহমান (২৭) ও রকিবুল ইসলাম (১৯)। এ সময় তাদের কাছ থেকে
মুফতি মাহমুদ বলেন, সংঘবদ্ধ এই অপরাধী চক্রের সদস্যরা আব্দুল্লাপুর-আশুলিয়া সড়কে যাত্রী বেশে অপহরণ করতো। অপহৃতের পরিবারের কাছ থেকে তারা মুক্তিপণ আদায় করতো। এই চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে যানবাহনে নারী যাত্রীদের হয়রানির অভিযোগ আসার পরই র্যাব-১ তদন্তে নামে। একপর্যায়ে আব্দুল্লাহপুর, কামারপাড়া ও আশুলিয়া এলাকা থেকে চক্রের প্রধান ইমরানসহ ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, প্রতিটি অপহরণ কাজের সময়ে ১০-১৫ জন সদস্য অংশ নেয়। এদের মধ্যে কয়েকজন যাত্রীবেশে বাসের মধ্যে থাকে। বাকিরা বিভিন্ন স্ট্যান্ড থেকে বাসে ওঠে। তাদের সঙ্গে সাধারণ যাত্রী যারা ওঠে তাদেরকে জিম্মি ও মারধর করে অর্থ আদায় করে। কেউ টাকা দিতে না চাইলে মারধর ও ছুরিকাঘাত করে নির্জন স্থানে ফেলে দিত। এছাড়া ভিকটিমের মোবাইল ফোন দিয়ে পরিবারের সদস্যদের ফোন করেও অর্থ আদায় করতো।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, জব্দ করা আসমানী পরিবহনের বাসটি নারায়ণগঞ্জের মদনপুর থেকে উত্তরা-আব্দুল্লাহপুর এবং মৌমিতা পরিবহনের বাসটি নারায়ণঞ্জের চাষাড়া থেকে গাজীপুরের চন্দ্রা পর্যন্ত চলাচল করতো। সাধারণত রাত ৮টার পর তারা এই দুই বাস নিয়ে ডাকাতি ও অপহরণের কাজে নেমে পড়তো। এই চক্রের মূল হোতা ইমরান। সে চার বছর ধরে ডাকাতি ও অপহরণের কাজের সঙ্গে যুক্ত । বশির নামে এক বন্ধুর মাধ্যমে সে এই কাজে যুক্ত হয়। ধীরে ধীরে সে নিজেই দলনেতা হয়ে ওঠে। এর আগে সে একটা চুরির মামলায় ছয় মাস জেলে ছিল। গত চার বছরে ৩০-৩৫টি অপহরণ ও ডাকাতির কাছে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
র্যাব জানায়, অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ে এই চক্রের সদস্যরা বেনামী সিম ব্যবহার করতো। তারা সাভার, আশুলিয়া, চন্দ্রা ও গাজীপুরের বিভিন্ন নির্জন জায়গায় মহিলা যাত্রীদের শ্লীলতাহানীর মতো ন্যাক্কারজনক কাজও করতো বলে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়।
এসি
আরও পড়ুন