যুক্তরাজ্যে নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ১ দিন
প্রকাশিত : ০৯:৪৯, ৭ জুন ২০১৭ | আপডেট: ১৬:৫৭, ৭ জুন ২০১৭
যুক্তরাজ্যে নির্বাচনের বাকি আর মাত্র একদিন। সন্ত্রাসী হামলার পর একদিন স্থগিত থাকলেও শোককে শক্তিতে পরিণত করে জোর প্রচারণা চালিয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের শেষ মুহুর্তের জরিপে কনজারভেটিভরা এগিয়ে থাকলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন নিয়ে রয়েছে শংকা। নির্বাচনে লড়ছেন ১৪ ব্রিটিশ বাংলাদেশী।
মাত্র দু’বছরের মাথায় আবারও নির্বাচনের মুখোমুখি যুক্তরাজ্য। ব্রেক্সিট ইস্যুতে গণভোটের পর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ডেভিড ক্যামেরনের সরে দাঁড়ানো যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তোলো। বিভক্তি ষ্পষ্ট হয়ে ওঠে পার্লামেন্টে। এ অবস্থায় হঠাৎ করেই মধ্যবর্তী নির্বাচনের ঘোষণা দেন নতুন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।
তবে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পরই ম্যানচেস্টার ও লন্ডন ব্রিজে সন্ত্রাসী হামলায় থমকে যায় প্রচারণা। যদিও এসব হামলা স্বত্ত্বেও নির্ধারিত দিনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তাই একদিন স্থগিত থাকার পর আবারও প্রচারণায় নামেন প্রার্থীরা।
মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা বরাবরের মতোই থেরেসা মে এর কনজারভেটিভ পার্টি ও জেরেমি করবিনের লেবার পার্টির মধ্যে। তবে ভোটের মাঠে বেশ ভালোভাবেই আছে লিবারেল ডেমোক্র্যাট পার্টিও। এছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছে স্কটিস ন্যাশনাল পার্টি-এসএনপি, ইউকে ইন্ডিপেন্ডেন্স পার্টি -ইউকেআইপিসহ আরো বেশ কয়েকটি দল।
বরাবরের মতো এবারও নির্বাচনে বিভিন্ন দলের হয়ে ১৪ জন ব্রিটিশ বাংলাদেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে রুশনারা আলী, টিউলিপ সিদ্দিক ও রুপা হকসহ ৮ জন লড়ছেন লেবার পার্টির হয়ে। আরো চারজন লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। এছাড়া সাজু মিয়া লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ও আফজল চৌধুরী ফ্রেন্ডস পার্টির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী, লেবার পার্টির চেয়ে ৬ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে কনজারভেটিভরা। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে কি-না তা নিয়ে রয়েছে শংকা।
আরও পড়ুন