যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে সুপার এইটে ভারত
প্রকাশিত : ০৮:৪২, ১৩ জুন ২০২৪
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শক্তিশালী পাকিস্তানকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ভারতের সঙ্গে আর পেরে উঠলো না স্বাগতিকরা। টুর্নামেন্টের হট ফেভারিট ভারতের কাছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে মার্কিনীরা। এই নিয়ে টুর্নামেন্টে টানা তৃতীয় জয়ে সুপার এইটে গেলো ভারত।
বুধবার নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যুক্তরাষ্ট্রের ছুঁড়ে দেওয়া ১১১ রানের লক্ষ্য ১০ বল বাকি থাকতে টপকে যায় রহিম শর্মার দল।
৩ ম্যাচের সবগুলো জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে আছে ভারত। আগের দুই ম্যাচে জেতা যুক্তরাষ্ট্র ৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে। ৩ ম্যাচে ২ পয়েন্ট করে নিয়ে পাকিস্তান তিনে, কানাডা চারে আছে। ২ ম্যাচের দুটিই হেরে তলানিতে আয়ারল্যান্ড। আইরিশদের বিপক্ষেই একটি করে ম্যাচ বাকি আছে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের।
গ্রুপের শীর্ষ দুই দল পাবে সুপার এইটের টিকেট।
নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই জোড়া ধাক্কা খায় যুক্তরাষ্ট্র। ওভারের প্রথম ও শেষ বলে শায়ান জাহাঙ্গির ও আন্দ্রেয়াস হাউসকে ফিরিয়ে দেন আর্শদিপ।
পাওয়ার প্লেতে আর কোনো বিপদ না হলেও তারপর নিয়মিত উইকেট হারায় যুক্তরাষ্ট্র। নিয়মিত অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেলের অনুপস্থিতিতে এই ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া অ্যারন জোন্স ১১ রান করতে খেলেন ২২ বল।
পনেরো ছাড়াতে পারেন কেবল দুজন। ৩০ বলে ২ ছক্কায় ২৪ রান করেন ওপেনার স্টিভেন টেইলর। নিতিশ কুমার সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন ২৩ বল খেলে। বাউন্ডারিতে দুর্দান্ত ক্যাচে তাকে ফেরাতে বড় ভূমিকা রাখেন মোহাম্মদ সিরাজ।
লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের একটু একটু অবদানে একশ’ ছাড়ায় স্বাগতিকের সংগ্রহ।
রান তাড়ায় ভারতের শুরুটা ভালো হয়নি। প্রথম ওভারে পেসার নেত্রাভালকারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে কিপারের গ্লাভসে ধরা পড়েন ভিরাট কোহলি, পান গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই প্রথম শূন্য রানে আউট হলেন তিনি। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত একটি আইপিএল কাটিয়ে আসার পর চলতি বিশ্বকাপে প্রথম তিন ম্যাচে তার সম্মিলিত রান স্রেফ ৫!
অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে ভারতের হয়ে খেলা নেত্রাভালকারের পরের ওভারে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রোহিত শার্মাও। ১৫ রানের মধ্যে বিদায় নেন দুই ওপেনার।
এরপর দলকে এগিয়ে নেন রিশাভ পান্ত ও সুরিয়াকুমার। পান্তকে ফিরিয়ে ২৯ রানের এই জুটি ভাঙেন আলি খান। একটি করে চার ও ছক্কায় ভারতের কিপার ব্যাটসম্যান ২০ বলে করেন ১৮ রান।
প্রথম ১০ ওভারে ভারতের রান ছিল ৩ উইকেটে ৪৭।
ত্রয়োদশ ওভারে সুরিয়াকুমারকে ফেরানোর সুযোগ আসে কিন্তু ক্যাচ মুঠোয় জমাতে ব্যর্থ হন নেত্রাভালকার। সুযোগ পেয়ে শিভাম দুবের সঙ্গে দলকে এগিয়ে নেন সুরিয়াকুমার।
শেষ ৫ ওভারে ভারতের দরকার ছিল ৩৫ রান। তবে ষোড়শ ওভার শুরুর আগেই তা নেমে আসে ৩০ রানে!
ইনিংসে তিনবার এক মিনিট সময়ের মধ্যে নতুন ওভার শুরু করতে না পারায় পেনাল্টি করা হয় যুক্তরাষ্ট্রকে। নিয়ম অনুযায়ী ব্যাটিং দলের স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ৫ রান।
এরপর আর পেরে ওঠেনি যুক্তরাষ্ট্র। দুবের সঙ্গে ৬৫ বলে অবিচ্ছিন্ন ৬৭ রানের জুটিতে কাজ শেষ করে ফেরেন সুরিয়াকুমার। ৩৫ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন দুবে।
ম্যাচের সেরা হয়েছেন আর্শদিপ সিং। এই পেসার ৪ ওভারে স্রেফ ৯ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যা ভারতের কারও সেরা বোলিং, আর্শদিপের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংও।
এএইচ