যুক্তরাষ্ট্রে বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি উত্তর কোরিয়ার
প্রকাশিত : ২১:২৯, ১০ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ০৮:৪৩, ১১ জুলাই ২০১৭
চরমে পৌঁছাল উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের টানাপড়েন। কিম জং উনের এ দেশটি এবার প্রত্যক্ষ না হলেও পরোক্ষভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে পারমানবিক যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত একটি সংবাদপত্রের বরাতে ভারতের সংবাদ প্রতিদিন সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানায়, `কোরীয় উপদ্বীপ বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে উত্তেজনাপ্রবণ এলাকা। এই অঞ্চলে যেকোনও সময় পরমাণু যুদ্ধ লাগতে পারে। বিশ্বের এই অঞ্চলেই পরমাণু যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ওয়াশিংটনও নতুন করে বিশ্ব যুদ্ধ চাইছে এবং তাতে ইন্ধন জোগাচ্ছে।`
সংবাদমাধ্যমটির দাবি, কোরীয় উপদ্বীপে মার্কিন যুদ্ধবিমানের আনাগোনা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। মহড়ার নামে উত্তর কোরিয়ার সীমান্তের খুব কাছে বোমাবর্ষণ করেছে মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলি। আর নিজেদের অঞ্চলের কাছে মার্কিন যুদ্ধবিমানের আনাগোনা একদমই ভালো চোখে দেখছে না উত্তর কোরিয়া।
এর পাশাপাশি সংবাদপত্রটিতে আরও দাবি করা হয়, ক্যাপিটল হিলে ক্ষমতা চলে যাওয়ার আশঙ্কাতেই এমন কাজ করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেদিক থেকে সবার নজর ঘোরাতেই এমন কাজ করছেন তিনি।
জাপান সরকারের প্রকাশ করা রিপোর্ট অনুযায়ী, ভূমি থেকে দূর পাল্লার ক্রুজ মিসাইল পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এই প্রথম সেই মাত্রার মিসাইল ছুড়ল কিমের দেশ। মিসাইলটি ওড়ার জন্য ৪০ মিনিট সময় নেয়। তবে এখানে উল্লেখ্য রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নির্দেশিকা অনুযায়ী ব্যালেস্টিক মিসাইল পরীক্ষা নিষিদ্ধ করা হয়েছে উত্তর কোরিয়ায়। কিম প্রশাসনের এই পরীক্ষার পরেই চিন্তার ভাঁজ পড়ে ওয়াশিংটন এবং সিওলের কপালে। তড়িঘড়ি বিশেষ বৈঠক ডাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কমিটি। কোরীয় উপদ্বীপে পাঠানো হয় দু’টি বি-১৮ মার্কিন বোমারু বিমান। এরপরই দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলি কোরীয় উপদ্বীপে মহড়া চালায়। আর তাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে উত্তর কোরিয়া।
এর আগে গত ৪ জুলাই আমেরিকা-সহ বিশ্বের প্রায় সব দেশের হুঁশিয়ারিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করেছিল উত্তর কোরিয়া।
আরকে/ডব্লিউএন
আরও পড়ুন