যুক্তরাষ্ট্রে ১৫ বছরে ২ লাখ বাল্যবিয়ে
প্রকাশিত : ১৫:০৬, ৯ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ০৯:১২, ১০ জুলাই ২০১৭
যুক্তরাষ্ট্রে গত ১৫ বছরে দুই লাখেরও বেশি বাল্য বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিয়ে হওয়া ওইসব শিশুর মধ্যে ১০ বছর বয়সী তিনটি মেয়েশিশু এবং ১১ বছর বয়সী একটি ছেলেশিশু রয়েছে। দেশটিতে বাল্যবিয়ে রোধে কাজ করা এমন কিছু সংস্থা এবং এ সংক্রান্ত অনুসন্ধানী তথ্যচিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘ফ্রন্টলাইন’র সর্বশেষ পরিসংখ্যানে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বিয়ের জন্য সর্বনিম্ন বয়স ১৮ নির্ধারিত হলেও প্রতিটি রাজ্যে এ বিষয়ে কিছু কিছু ছাড় রয়েছে। যেমন- বাবা-মায়ের সম্মতি বা গর্ভাবস্থা জনিত কারণে অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিয়ের অনুমতি দেয় দেশটি।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশটিতে ২০০০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে অন্তত দুই লাখ সাত হাজার ৪৬৮টি বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটে। তথ্য মতে, এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ, দেশটির ১০টি রাজ্য বাল্যবিয়ে সংক্রান্ত কোনো তথ্য অথবা অসম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেছে।
‘আনচেইন্ড’ -এর প্রতিষ্ঠাতা ফ্রাইডে রিস বলেন, নিউ জার্সিতে ১৯৯৫ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, ওইসব বিয়ের মধ্যে অধিকাংশের বয়স ১৩ বছর। যাদের সঙ্গে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের সঙ্গে তাদের বিয়ে হয়। মাত্র ১৪ শতাংশ শিশু জীবনসঙ্গী হিসেবে প্রায় সমবয়সী শিশুদের পেয়ে থাকে। অধিকাংশ শিশু ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সী ব্যক্তিকে সঙ্গী হিসেবে পেয়ে থাকে।
আলাবামা রাজ্যে দেখা গেছে, ১৪ বছরের এক শিশুর সঙ্গে ৭৪ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের বিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশটির বেশিরভাগ রাজ্য যৌনসম্মতির বয়স ১৬ থেকে ১৮ বছর নির্ধারণ করা আছে।
তেহরাহ জাস্টিস সেন্টারের আইনজীবী জেনি স্মুথ বলেন, সাধারণত নিম্নবিত্ত শ্রেণির শিশুদের মধ্যে বাল্যবিয়ে বেশি হয়। সংস্থার পক্ষ থেকে তারা নারীদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এবং বাল্যবিয়ে বন্ধে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
গত মে মাসে নিউ জার্সির হাই-প্রোফাইল রিপাবলিকান গভর্নর বাল্যবিয়ে রোধে আনা একটি আইনে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানান। তাঁর দাবি, আইনটি ধর্মীয় রীতিনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সূত্র : ইন্ডিপেনডেন্ট।
আর/ডব্লিউএন
আরও পড়ুন