ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

যে কাজে রোজা মাকরূহ হয় না

প্রকাশিত : ১৫:১১, ১৭ মে ২০১৯ | আপডেট: ১৫:৪৯, ১৭ মে ২০১৯

রোজা আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রাখি। কিন্তু কোন কারণে সেই রোজা যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সব কষ্টই বৃথা। এমন কিছু কাজ আছে যা ঘটে গেলে সাধারণত আমাদের কাছে মনে হয় রোজা বুঝি নষ্ট হয়েছে বা মাকরূহ হয়েছে। আসলে সত্যটা কি? জেনে নেওয়া যাক নিচের বর্ণনা থেকে :

  • রোজার খেয়াল নেই এমন অবস্থায় খানাপিনা করলে
  • ভুলে স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করলে রোজা নষ্ট হবে না এবং মাকরূহ হবে না।
  • দিনের বেলায় সুরমা লাগাবার পর কাশির মধ্যে যদি সুরমার চিহ্ন দেখা যায়, তথাপি রোজা নষ্ট হবে না।
  • থুথু ফেলা ও গিলা মাকরূহ নয়।
  • কানের ভেতর পানি চলে গেলে রোজা মাকরূহ হবে না।
  • ডায়াবেটিস টেস্টের জন্য রক্ত দিলে রোজা নষ্ট হবে না।
  • দাঁতের মধ্যে খাদ্য, গোশতের টুকরা, কোন আঁশ অথবা সুপারির টুকরো থেকে গেল এবং মুখ থেকে বের হলো না বরঞ্চ সেখান থেকে গিলে ফেললো, এর পরিমাণ যদি ছোলা থেকে কম হয় তাহলে রোজা নষ্ট হবে না।
  • অনিচ্ছা সত্ত্বেও মুখ ভরে বমি হলো (কম হোক বা বেশি হোক) তাতে রোজা মাকরূহ হবে না।
  • কিছু পেটের মধ্যে আপনা আপনি ঢুকে পড়লেও রোজা মাকরূহ হবে না।
  • রোজা রেখে যে কোন সময় মিসওয়াক করলে তা শুকনো, ভিজা হোক অথবা টাটকা হোক এমনকি নিমের তাজা মিসওয়াকের তিতা স্বাদ অনুভব করলেও রোজা মাকরূহ নয়।
  • অধিক মাত্রার গরমে কুলি করা, নাকে পানি দেয়া, হাত মুখ ধোয়া, গোসল করা, ভিজে কাপড় গায়ে দেয়া মাকরূহ নয়।
  • পান খাওয়ার পর ভালো করে কুলি ও গড়গড়া করা হয়েছে কিন্তু থুথুর মধ্যে লাল আভা দেখা যাচ্ছে তাতে রোজা মাকরূহ হবে না।
  • গলার মধ্যে মাছ ঢুকে পড়লে রোজা নষ্ট হবে না।

তথ্যসূত্র : মাওলানা মোফাজ্জল হকের রোজা ইতিকাফ ফিদইয়া ফিতরা গ্রন্থ।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি