ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪

যে কারণে সংলাপে সাড়া দিয়েছে আ. লীগ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৪, ৩০ অক্টোবর ২০১৮ | আপডেট: ১২:০৭, ৩০ অক্টোবর ২০১৮

ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আগামী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। শেখ হাসিনা তার উদার দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই সংলাপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র।

আজ মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর চিঠি পৌঁছে দিতে রাজধানীর বেইলি রোডে ড. কামাল হোসেনের বাসায় যান আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ। সংলাপের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে লেখা ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেনের চিঠির জবাবে এ চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর দফতরের একটি সূত্র জানান, ২০১৪ সালে শেখ হাসিনা যেভাবে সৃষ্ট সংকটের সমাধানে উদ্যোগী ছিলেন, এবারও সেই ভূমিকা নেবেন তিনি। তাই বিরোধী শক্তিগুলোর বক্তব্য তিনি শুনতে চান। ফলাফল যাই হোক এসব গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। এর আর এর অংশ হিসেবেই তিনি সংলাপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সূত্র জানিয়েছে, গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নিজেই বিষয়টি তোলেন। অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি অন্য মন্ত্রীদের উদ্দেশ করে বলেন, আপনারা নিশ্চয় জানেন, ঐক্যফ্রন্ট সংলাপে বসতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে। তারা কী বলতে চায়, শোনা উচিৎ। প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত মন্ত্রীদের কাছে এ বিষয়ে মতামত চাইলে তারাও ইতিবাচক মতামত দেন।

সংলাপে খোলামেলা আলোচনা হবে বলেই জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, সংলাপে খোলামেলা আলোচনা হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সব কথা শুনবেন। 

কোনো চাপে আওয়ামী লীগ সংলাপে বসছে না মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিরোধী দলের চাপের মুখে কিংবা কোনো আন্দোলনে নতি স্বীকার করে নয়, বরং গণতন্ত্রের ধারা রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ঐকফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনায় রাজি হয়েছেন।

জানা গেছে, নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক জোটকে কোনো সুযোগ দিতে চাইছে না আওয়ামী লীগ। তারা যেন বলতে না পারে যে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়ে তারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। বরং বিরোধী পক্ষের দাবিগুলো শুনে যেগুলো গ্রহণযোগ্য সেগুলো বিবেচনায় নেবে সরকার। আর যেগুলো নিয়ে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা সেগুলো তাদের সামনে উত্থাপন করা হবে।  

প্রসঙ্গত, নির্বাচন সামনে রেখে গতকাল সোমবার সংলাপের প্রস্তাব দিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি পান ড. কামাল হোসেন। এর জবাবে আজ মঙ্গলবার সকালেই প্রধানমন্ত্রী সংলাপে বসার আমন্ত্রণ জানিয়ে ড. কামালকে চিঠি পাঠিয়েছেন। আগামী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টায় গণভবনে এই সংলাপ হবে।  

একে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি