ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪

যে গ্রামে ডাকা হয় সুরে সুরে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:০৬, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৫:০৫, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

নাম থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ অন্যভাবে ডাকে, অবাক হবেন না? অবাক হওয়ারই কথা। কিন্তু এমটিই করেন ভারতের চেরাপুঞ্জি থেকে ৫৬ কিলোমিটার দূরে থাকা পূর্ব খাসি পাহাড়ে কংথং গ্রামের বাসিন্দারা। এখানে সবাই পরস্পরকে ডাকেন নাম ধরে নয়, সুরে-সুরে। সবার জন্য রয়েছে পৃথক নামের সুর! এক জনের ডাকে মোটেই অন্য জন ভুল করে সাড়া দেন না। খবর আনন্দবাজারের।


কংথং গ্রামে এখন বাসিন্দার সংখ্যা প্রায় ৭০০। পাহাড়ি নদীর উপরে রাবার গাছের শেকড়ে তৈরি ‘জীবন্ত সেতু’ পার করে চলে যাতায়াত। দূর থেকে নামের সুর শুনেই সবাই বুঝে যান কে কাকে ডাকছে!


গ্রামের লোকজন জানান, আগেকার দিনে শিকারের সময় এই ভাবে নাম ডাকার শুরু। সেই প্রথাই চলছে। শুধু নাম-গান নয় তার সঙ্গে এক লোকগাথা ও স্বয়ম্বর ধাঁচের প্রথাও জড়িয়ে। প্রতি বছর গ্রীষ্মকালের নির্দিষ্ট পূর্ণিমায় গ্রামের অবিবাহিত নারী-পুরুষ আগুন জ্বেলে গানের আসর বসায়। যে ছেলে সবচেয়ে ভাল গান গায়,সে গ্রামের সবচেয়ে সুন্দরী কুমারীকে বিয়ে করার অধিকার পায়।


কংথং ট্যুরিজম কো-অপারেটিভ সোসাইটির চেয়ারম্যান রোথেল খংসিট  জানান,বহু যুগ ধরে,এই গ্রামের গর্ভবতী মায়েরা পাহাড়-জঙ্গলে কান পেতে পাখির ডাক,ঝর্নার শব্দ থেকে সুর বোনেন। সন্তান জন্মের পরে,সেই সুর তার কানের কাছে গুনগুন করা হয়। সুর থেকে জন্ম নেয় গান। যার নাম ‘জিংগারওয়াই লেওবেই।’ আর ওই গানের প্রথম অক্ষর আর তার সুরটাই হয়ে যায় সন্তানের নাম। শিশুও জন্মের পরে তার নামের ‘জিংগারওয়াই লেওবেই’টাই আগে আওড়াতে শেখে।
//এআর


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি