ঢাকা, সোমবার   ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

যে গ্রামে ৩০ বছর ধরে কোনো চুরি হয় না

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩৪, ১ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১১:১০, ২৪ জুলাই ২০১৮

এমন কোনো জনবসতির কথা কি শুনেছেন যেখানে চুরি-ছিনতাই-রাহাজানি নেই! এমনকি গ্রামের প্রতিটি বাড়ির প্রাচীরে ছোট ছোট টাকার ব্যাগ ঝোলানো থাকে। ওই ব্যাগ চুরি হওয়া তো দূরের কথা কেউ ছুঁয়েও দেখেন না। নেই কোনো থানা পুলিশও। ত্রিশ বছর ধরেই এভাবে চলছে গ্রামটি।

ভাবছেন কল্পকাহিনী বলছি। সত্যিই পশ্চিম রোমানিয়ায় এমন একটি জনবসতি আছে। দেশটির মেহেন্দিতি কাউন্টির পাহাড়ি ওই গ্রামটির নাম এবেনথাল। চেক নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত এ পাহাড়ি জনপদ আর পাঁচটি পাহাড়ি গ্রামের মতোই নয়নাভিরাম। তবে অন্যান্য গ্রামের সঙ্গে এর পার্থক্য হল- গত ত্রিশ বছরে কোনোদিন এ গ্রাম থেকে কোনো কিছু চুরি হয় নি। চুরি করবেই বা কে? চোরই যে নেই গ্রামে। ফলে সেখানে নেই কোনো থানা বা পুলিশ।

এই গ্রামের কোনো লোক অনুমতি ছাড়া অন্য কারও বাড়ির আঙিনায়ও প্রবেশ করে না। তবে এ গ্রামের মানুষের এ রকম সৎ হয়ে ওঠার পেছনে একটি গল্প আছে। গল্পটি বেশ মজার।

১৯৮৯ সালের শেষের দিকে হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায় এবেনথালের একমাত্র রুটির দোকানটি। গ্রামের মানুষ পড়ল চরম বিপাকে। কারণ সপ্তাহে মাত্র দুদিন রুটির গাড়ি আসে। ফলে কখন রুটির গাড়ি আসে এ প্রতীক্ষায় দিনের অধিকাংশ সময় ব্যয় হতে থাকে গ্রামের মানুষের।

এ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে কেউ একদিন তার বাড়ির গেটে একটি ব্যাগে করে টাকা রেখে দেয়। রুটির গাড়ি এসে সে ব্যাগ থেকে টাকা নিয়ে রুটি রেখে যায়। এরপর থেকে গ্রামের সবাই ওই পদ্ধতি অবলম্বন শুরু করে।

কেউ লাইটপোস্টে কেউ বা বাড়ির গেটে ব্যাগে রুটির দাম রেখে দেয়া শুরু করল। গাড়ি এসে যার যার ব্যাগ থেকে টাকা নিয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ রুটি রেখে দিয়ে চলে যায়। যেহেতু রুটি সবার প্রয়োজন সেহেতু কেউ কোনোদিন অন্যের ব্যাগ থেকে টাকা বা রুটি চুরি করে না। ফলে চালু হয়ে গেল চমৎকার একটি প্রথা। এতে গ্রাম থেকে চুরিসহ সব অপরাধ বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় পুলিশ স্টেশন।

সূত্র : ডেইলি মেইল।

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি