যে গ্রামের সবাই কোটিপতি
প্রকাশিত : ১১:০৪, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৬:২৫, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭
হুয়াজি। চীনের রহস্যময় একটি গ্রাম। এই গ্রামটি বিশ্বের মানুষের কাছে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। কারণ এখানে সবাই কোটিপতি। অথচ এখানকার মানুষ একসময় খুবই গরীব ছিল। কৃষিকাজ ছিল তাদের পেশা। আর এখন তারাই বিশ্বের সবচেয়ে ধনী গ্রামের বাসিন্দা। প্রত্যেকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রয়েছে ২৫ লাখ ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ২১ কোটি ২৪ লাখ টাকা প্রায়। চীনের জিয়াংশু প্রদেশের এ গ্রামটিকে কমিউনিস্ট ইউটোপিয়া বা ‘সাম্যবাদের কল্পরাজ্য’ বলা হচ্ছে।
এই গ্রামে দুই হাজার মানুষের বসবাস। এতে রয়েছে ভালো স্বাস্থ্য পরিষেবা ও শিক্ষা। এই স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষাসহ সবকিছু বিনা মূল্যে দেওয়া হয়।
২০১১ সালে গ্রামটির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৩২৮ মিটার উঁচু বড় ভবন তৈরি করা হয়। গ্রামের সব বাসিন্দা একসঙ্গে সমবেত হওয়া ও খাওয়ার জন্য বিশাল জায়গা রয়েছে। এখানে চাইলেই সবাই সব কিছু করতে পারে না। গ্রামে জুয়া খেলা ও মাদকসেবন পুরোপুরি নিষিদ্ধ। গ্রামটির বড় আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে—গ্রাম ছাড়লেই সব শেষ! কেউ সঙ্গে কিছু নিতে পারবে না। গ্রাম ছেড়ে যেতে চাইলে সম্পদ ফেলে চলে যেতে হবে। গ্রামের সম্পদ গ্রামেই থাকবে। ধনী কিন্তু রহস্যময় হয়ে রয়েছে হুয়াজি।
আকাশের নিচে এক নম্বর গ্রাম হিসেবে পরিচিত হুয়াজির সবকিছুই রহস্যময়। এখানে দুই হাজার নিবন্ধিত অধিবাসী বাস করলেও গণমাধ্যমের সামনে কারও কথা বলার অনুমতি নেই। এখানে রয়েছে প্রায় ২০ হাজার অভিবাসী শ্রমিক। এখানকার প্রত্যেকেই সপ্তাহের সাত দিনই কাজ করেন। জিয়াংশু প্রদেশে অবস্থিত হুয়াজি গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে পরিবারের সদস্যসংখ্যা অনুযায়ী কম করে হলেও দুটি গাড়ি রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ২ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলারের ব্যাংক-ব্যালেন্স রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে বিনা মূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা ও শিক্ষা।
একসময়ের খুব সাধারণ কৃষকসমাজ ইস্পাত ও জাহাজের বাজারে বহু কোটি টাকার সম্পদের রাজ্যে রূপান্তরিত হয়েছে। গ্রামে একটি বহুজাতিক শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এটি ১৯৯৮ সালে চীনের স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত হয়। প্রতিষ্ঠানটি বিমান এবং জাহাজ কেনাবেচা করে। গ্রামবাসীই ওই প্রতিষ্ঠানের শেয়ারহোল্ডার এবং কোম্পানির বার্ষিক মুনাফার এক-পঞ্চমাংশ তারা পায়।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার
একে//