যে প্রজাতির ২০ ভাগের মৃত্যু হয় খুনাখুনিতে
প্রকাশিত : ১৭:২১, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৫:০৯, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭
হিংসা-বিদ্বেষসহ নানাবিধ কারণে পৃথিবীর এক প্রাণি অন্য প্রাণির উপর যেমন হিংস্রতা দেখায়, তেমনি একই গোত্র বা প্রজাতির প্রতিও আক্রমনাত্মক থাকে। হিংস্রতার শেষ পর্যায়ে নিজ প্রজাতিকেই খুন করতে দ্বিধাবোধ করে না বিশ্বের অনেক প্রজাতির প্রাণি। খুনাখুনির এ পরিসংখ্যানে শতকরা ২০ ভাগ নিজ প্রজাতির হাতে খুন হয় বিশ্বে এমন প্রাণিও আছে। সম্প্রতি স্পেনের গবেষকরা মৃত্যু নিয়ে তাদের এক গবেষণায় এমন তথ্য পেয়েছে।
স্পেনের গবেষকরা মানুষসহ ১ হাজার ২৪টি স্তন্যপায়ী প্রজাতির প্রাণির মধ্যে ৪০ লাখ মৃত্যুর ঘটনা বিশ্লেষণ করেন। এর মধ্যে ২০১৫ সালে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই ১৬ হাজার মানুষকে হত্যার ঘটনা ঘটে।
এই হত্যাকাণ্ডগুলোর কারণ ছিল হিংসা, টাকা-পয়সা নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ এবং ভিন্ন ধরনের লোকদের প্রতি ঘৃণা।
তবে গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাণি জগতের মধ্যে নিজেদের প্রজাতির সদস্যদেরকে হত্যা করার ক্ষেত্রে শীর্ষ ৩০টি প্রজাতির মধ্যেও মানুষদের স্থান নেই। মানুষ ছাড়া নেকড়ে, সিংহ এবং বানর ও লেমুরসহ অন্যান্য প্রাইমেটরা আরো বেশি হারে নিজেদের মধ্যে খুনাখুনি করে।
গবেষণায় আরো দেখা গেছে, যাদেরকে আপাত শান্ত বলে মনে করা হয় এমন প্রজাতি বাস্তবে অনেক বেশি খুনি। আমেরিকার লম্বা লেজের চিনসিলাস, স্থল কাঠবিড়াল এবং বন্য ঘোড়া, গাজেল এবং হরিণসহ বেশ কয়েকটি খুরওয়ালা প্রাণিও পরস্পরকে ব্যাপক সংখ্যায় হত্যা করে। এই প্রজাতিগুলো পরস্পরকে হত্যাকারী প্রাণিদের তালিকার শীর্ষ ৫০ এর মধ্যে রয়েছে। নিজেদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খুনাখুনি করা প্রজাতি হলো মিরকাত। এদের ২০ শতাংশেরই মৃত্যু হয় নিজের প্রজাতির কোনো সদস্যের হাতে।
যেসব প্রজাতি নিয়ে গবেষণা চালানো হয়েছে তার মধ্যে অর্ধেকই নিজেদের প্রজাতির সদস্যদেরকে হত্যা করে। আর স্তন্যপায়ীদের মধ্যে প্রাইমেটরাই নিজেদের প্রজাতির সদস্যদের বেশি খুন করে। অন্যান্য স্তন্যপায়ীদের তুলনায় প্রাইমেটরা নিজের প্রজাতির সদস্যদের আটগুন বেশি হারে খুন করে।
তবে মানুষ এবং অন্যান্য স্তন্যপায়ীদের মধ্যে খুনের পরিবেশ-পরিস্থিতি পুরোপুরি আলাদা থাকে। বেশিরভাগ স্তন্যপায়ীর মধ্যে বেশিরভাগ খুনের ঘটনা ঘটে শিশু শাবককে হত্যার মধ্য দিয়ে। মিরকাত প্রজাতির প্রাণিদের মধ্যে কর্তৃত্ববান নারী সদস্যরা তাদের অধীনস্থ নারীদের শাবক বা ছানাকে হত্যা করে।
আরকে/ডব্লিউএন