ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

যেভাবে করা হয় চড়ক পূজা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৫৩, ১৬ এপ্রিল ২০১৮

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ছয়শ্রী দিঘীরপাড়ে দুই দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী চড়কপূজা ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসবমূখর পরিবেশে শনিবার (১৪ এপ্রিল) শুরু হয় এ পূজা ও মেলা।

প্রায় দুইশত বছরের ঐতিহ্যবাহী চড়কপূজা ও মেলাকে কেন্দ্র করে কমলগঞ্জের ছয়শ্রীসহ আশেপাশের এলাকার মানুষের মধ্যে বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়।

তবে এ উৎসব ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সার্বজনীন উৎসবে রুপ নেয় বলে জানান, চড়কপূজা উদযাপন কমিটির নেতা অসমঞ্জু প্রসাদ রায় চৌধুরী।

পূজার আগের রাতে জ্বলন্ত আগুনের মধ্যে ‘কালীনাচ’ হয়। পরদিন শনিবার দপুর থেকে নারী পুরুষ দর্শনার্থীর বিশাল সমাগম ঘটে উৎসবস্থলে। বিকেল বেলা ভক্তদের মন্ডলীতে বিশাল দা (বলিছেদ) দিয়ে নৃত্য, শিবের নৃত্য ও কালীর নৃত্য দেখানো হয়।

নৃত্য শেষে ছয়চিরি দিঘীতে স্নান করে ভক্তদেরকে লোহার শিকল শরীরের বিভিন্ন অংশে পিষ্ট (গাঁথা) করা হয়। বিশেষ করে জিহ্বা ও গলায় গেঁথে দেওয়া হয়। নৃত্যের তালে তালে চড়ক গাছ ঘুরানো হয়।

দেবতার পূজা-অর্চনা শেষে অপরাহ্নে মূল সন্ন্যাসী ৪ জন ভক্তের (জীবিত মানুষের) পিঠে লোহার দু’টি করে বিরাট আকৃতির বড়শি গেঁথে রশিতে বেঁধে ঝুলিয়ে চড়ক গাছ ঘুরানো হয়। এ সময়ে দর্শনার্থীদের অনেকে বাতাসা আর কলা উপরের দিকে উড়িয়ে লুট দেন, আর দর্শনার্থীরা তা কুড়িয়ে নেন।

 রোববার (১৫ এপ্রিল) ফেরা চড়ক পূজায় দেবতার পূজা অর্চনা করা হয়। ছয়চিরি দিঘীর চার পাড়ের মধ্যে দিঘীর পূর্বপাড়ে ১টি, উত্তর পাড়ে ১টি এবং দক্ষিন পাড়ে ২টি চড়ক গাছ স্থাপন করে পূজা অনুষ্ঠিত হয়।

তান্ত্রিক মন্ত্রের ধারা বিভিন্ন অলৌকিক ধর্মীয় কর্মসূচী উপভোগ করার জন্য প্রতি বছরের মত এবারও দর্শনার্থীর উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়।

চড়কপূজা উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী এক বিশাল মেলা বসে। চড়ক পূজা ও মেলা পরিচালনা কমিটি প্রতি বছরের মত এবারও মেলা সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। এ অনুষ্ঠানাদিতে ইউনিয়ন পরিষদ ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল।

/আর/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি