ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪

যেভাবে চলচ্চিত্রে এসেছিলেন সালমান শাহ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:০৯, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

চিত্রনায়ক সালমান শাহ। সেই বহু বছর আগে তিনি কোটি দর্শক ও ভক্তদের কাঁদিয়ে চলে গেছেন অভিমানে। তবে ভালোবাসার এই নায়ক যা দিয়ে গেছেন ঢাকাই সিনেমায় তা মানুষ মনে রাখবে সারাজীবন। তাইতো সিনেমা প্রেমী মানুষের হৃদয়ে আজও অমর হয়ে রয়েছেন এই মহা নায়ক।

নিজের অভিনয় দক্ষতা আর স্টাইল দিয়ে কোটি ভক্তের স্বপ্নের নায়ক হয়েছিলেন সালমান শাহ। মাত্র ৪ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারের ইতি ঘটিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। অভিনয় জগতে এসে পেয়েছেন খ্যাতি, সুনাম আর কোটি ভক্তের ভালোবাসা। যা বাংলা সিনেমায় আজও ইতিহাস হয়ে রয়েছে।

নব্বই দশকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নায়ক সালমান শাহ্। তার প্রকৃত নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। সালমান শাহ ১৯৭১ সালে ১৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের সিলেট জেলায় অবস্থিত জকিগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। চলচ্চিত্র জীবনে তিনি সবার কাছে ‘সালমান শাহ’ বলেই পরিচিতি লাভ করেন।

প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের হাত ধরে সালমান শাহ চলচ্চিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আনন্দ মেলা তিনটি হিন্দি সিনেমা ‘সনম বেওয়াফা’ ‘দিল’ ও ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ এর কপিরাইট নিয়ে সোহানুর রহমান সোহানের কাছে আসে এর যে কোন একটির বাংলা পুনঃনির্মাণ করার জন্য কিন্তু তিনি উক্ত সিনেমাগুলোর জন্য উপযুক্ত নায়ক-নায়িকা খুঁজে না পেয়ে সম্পূর্ণ নতুন মুখ দিয়ে সিনেমা নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। নায়িকা হিসেবে মৌসুমীকে নির্বাচিত করলেও নায়ক খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তখন নায়ক আলমগীরের সাবেক স্ত্রী খোশনুর আলমগীর ‘ইমন’ নামে একটি ছেলের সন্ধান দেন।

প্রথম দেখাতেই তাকে পছন্দ করে ফেলেন পরিচালক এবং সনম বেওয়াফা সিনেমার জন্য প্রস্তাব দেন, কিন্তু যখন ইমন ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ সিনেমার কথা জানতে পারেন তখন তিনি উক্ত ছবিতে অভিনেয়র জন্য পীড়াপীড়ি করেন। তার কাছে কেয়ামত সে কেয়ামত তক সিনেমা এতই প্রিয় ছিলো যে তিনি মোট ২৬ বার সিনেমাটি দেখেছেন বলে পরিচালক কে জানান। শেষ পর্যন্ত পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান তাকে নিয়ে কেয়ামত থেকে কেয়ামত চলচ্চিত্রটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন এবং ইমন নাম পরিবর্তন করে সালমান শাহ রাখা হয়।

পরে মৌসুমীর বিপরীতে তিনি আরও তিনটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। সিনেমা তিনটি হল অন্তরে অন্তরে (১৯৯৪), স্নেহ (১৯৯৪) ও দেনমোহর (১৯৯৫)। শিবলী সাদিক পরিচালিত অন্তরে অন্তরে হিন্দি চলচ্চিত্র আও পেয়ার করের আনঅফিসিয়াল রিমেক, স্নেহ পরিচালনা করেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও শফি বিক্রমপুরী পরিচালিত দেনমোহর হিন্দি চলচ্চিত্র সনম বেওয়াফার অফিসিয়াল রিমেক।

এররপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর পরলোক গমন করেন প্রিয় এই নায়ক।

এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি