ঢাকা, রবিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

যেভাবে নায়করাজ হলেন রাজ্জাক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:২৭, ২১ আগস্ট ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের ‘রাজা’ ছিলেন তিনি। চলচ্চিত্রে বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনি যতটা দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন সেটি অনেকটা বিরল।

আব্দুর রাজ্জাকের জন্ম ১৯৪২ সালে কলকাতায়।১৯৬৪ সালে শরণার্থী হয়ে চলে আসেন ঢাকায়। এরপর জড়িয়ে পড়েন চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে। নিজের প্রতিভার গুণে অল্প দিনেই হয়ে ওঠেন ঢাকার সিনেমার ‘সুপারস্টার’। গত ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রশিল্পের কিংবদন্তি অভিনেতা রাজ্জাক একসময় হয়ে ওঠেন ‘নায়করাজ’।

চলচ্চিত্রের রাজাকে ঠিকই চিনেছিলেন প্রয়াত সাংবাদিক ও চিত্রনাট্যকার আহমদ জামান চৌধুরী। ২০১৩ সালের মার্চে মারা যান তিনি।

যিনি চলচ্চিত্র জগতে ‘খোকা ভাই’ হিসেবেই পরিচিত। আশির দশকে রাজ্জাককে তিনি ‘নায়করাজ’ উপাধি দিয়েছিলেন। রাজ্জাক যখন অভিনয় দিয়ে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে অবস্থান করছিলেন ঠিক তখনই তিনি ‘নায়করাজ’ উপাধিটি পেয়েছিলেন।

রাজ্জাক জীবদ্দশাতেই বারবার স্বীকার করতেন তাঁর প্রিয় ‘খোকা ভাই’য়ের অবদান। তাঁর ‘নায়করাজ’ হয়ে ওঠার পেছনে আহমদ জামান চৌধুরীর অবদান তিনি ভোলেননি আমৃত্যু।

গত অর্ধ শতক ধরে অজস্র কালজয়ী ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘এতটুকু আশা’, ‘নীল আকাশের নিচে’, ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘নাচের পুতুল’, ‘পিচঢালা পথ’, ‘আবির্ভাব’, ‘দ্বীপ নেভে নাই’, ‘টাকা আনা পাই’, ‘রংবাজ’, ‘আলোর মিছিল’, ‘অশিক্ষিত’, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘চন্দ্রনাথ’, ‘শুভদা’, ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’–এর মতো ছবিগুলো তাঁকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের ‘রাজা’ হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করেছিল।

আজ চলে গেলেন রাজ্জাক। কিন্তু বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের এই প্রবাদপুরুষ ‘নায়করাজ’ হয়েই বেঁচে থাকবেন আগামী দিনগুলোতে। আর যে নামের কারণে বারবার আসবে ‘খোকা ভাই’-এর নামও।

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি