ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

যেসব আমলে দ্রুত বিয়ে হয়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩২, ৩ জানুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ১২:৩৪, ৩ জানুয়ারি ২০২০

Ekushey Television Ltd.

‘বিয়ে-শfদি খোদার হাতে খোদার কলম নড়ে না, খোদায় যারে কলম মারে সেই কলম আর নড়ে না’ এটি একটি গানের লাইন। বিয়ে-শাদি, জন্ম-মৃত্যু সবকিছুই আল্লার হাতে। তার ইশারা ছাড়া একটি গাছের পাতাও নড়ে না। বিয়ে মানুষের একটি সুন্নাতি আমল। 

ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক অবস্থার উপর নির্ভর করে বিয়ের হুকুম। তাই সবার ক্ষেত্রে বিয়ের হুকুম এক নয়। বরং ব্যক্তিভেদে বিয়ে ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত, মোবাহ, মাকরূহ এবং হারাম হিসেবেও বিবেচিত।

কে কখন বিবাহ করবে আল্লাহ তায়ালা ভালো জানেন। আল্লাহ তায়ালা চাইলেই সব কিছু সম্ভব। আল্লাহ তায়ালা না চাইলে কোনো কিছু সম্ভব না। এমন কিছু ভাগ্যবান নারী-পুরুষ আছে, যাদের বিয়ে বয়স হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে যায় আর তারা তা সম্পন্ন করে ফেলে। পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছে যাদের বিবাহের বয়স অতিক্রম করলেও তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারছেন না।

সুতরাং যারা বিয়ের উপযুক্ত বা বিয়ের বয়স হয়েছে কিংবা বিয়ের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে, তাদের জন্য দ্রুত বিয়ে করতে রয়েছে কিছু আমল। যে আমল করলে আল্লাহর অনুগ্রহে দ্রুত বিয়ে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এর কিছু হলো-

ইসতেগফা করা

সব সময় জবানে ইসতেগফার জারি রাখা। অর্থাৎ ‘আসতাগফিরুল্লাহ, আসতাগফিরুল্লাহ’ পড়া। কেননা যে ব্যক্তি বেশি বেশি ইসতেগফার করে, সে মুসতাজেবুদ দাওয়াহ হয়ে যায়। যার দোয়া আল্লাহ কখনো ফেরত দেন না।
اَسْتَغْفِرُ الله – اَسْتَغْفِرُ الله
উচ্চারণ : আসতাগফিরুল্লাহ, আসতাগফিরুল্লাহ।
اَسْتَغْفِرُ اللهَ الَّذِىْ لَا اِلَهَ اِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّوْمُ وَ اَتُوْبُ اِلَيْهِ
উচ্চারণ : ‘আসতাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি।’

সুরা ইয়াসিন পাঠ করা

সুরা ইয়াসিন বিয়ে সংক্রান্ত সব সমস্যার সমাধান করে দেয়। সুরা ইয়াসিন পড়ার একটি বিশেষ আমল রয়েছে। যাদের বিয়ের প্রস্তাব আসে কিন্তু বিয়ে হয় না। তাদের জন্য এ আমলটি কার্যকরী। আর তাহলো-
সুরা ইয়াসিনে ৭টি মুবিন রয়েছে। প্রতিদিন সকালে সূর্য যখন পূর্ব আকাশে লাল হয়ে উঠে তখন, পশ্চিমমুখী হয়ে সুরা ইয়াসিন পড়া। আর যখনই ‘মুবিন’ শব্দ তেলাওয়াত করা হবে তখনই শাহাদাত আঙুল দিয়ে পেছনের দিকে অর্থাৎ সূর্যের দিকে ইশারা করা।

সুরা আদ-দোহাসহ সুরা কাসাসের এ আয়াত পাঠ করা-

فَسَقَى لَهُمَا ثُمَّ تَوَلَّى إِلَى الظِّلِّ فَقَالَ رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ
উচ্চারণ : ‘ফাসাক্বা লাহুমা ছুম্মা তাওয়াল্লা ইলাজজিল্লি ফাক্বালা রাব্বি ইন্নি লিমা আংযালতা ইলাইয়্যা মিন খায়রিং ফাক্বির।’ হজরত মুসা আলাইহিস সালাম যখন খুব একাকি ও বিষন্নতা অনুভব করতেন তখন তিনি এ আয়াতটি বেশি বেশি পাঠ করতেন।

তাই ওলামায়ে কেরাম নারী-পুরুষদের এ আমলটি দিয়ে থাকেন। যদি কোনো ছেলে এ আয়াতটি ১০০ বার পাঠ করে তাহলে শীঘ্রই আল্লাহ তাআলা তার জন্য ভালো পাত্রীর ব্যবস্থা করে দেন।

আর মেয়েরা যদি নিয়মিত সুরা দোহা ১১ বার তেলাওয়াত করে তবে তাদের জন্য আল্লাহ তাআলা সর্বোত্তম পাত্রের ব্যবস্থা করে দেন।

সুরা তাওবার এ আয়াতটি তেলাওয়াত করা

فَإِن تَوَلَّوْاْ فَقُلْ حَسْبِيَ اللّهُ لا إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ
উচ্চারণ : ফাইং তাওয়াল্লাও ফাকুল হাসবিয়াল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহুয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আজিম।’ প্রতিদিন নামাজ আদায় করার পরপর বিয়ে আকাঙ্খী নারী-পুরুষের নিয়মিত এ আমলটি করা।

সুরা মরিয়ম পড়া

দিনের যে কোনো ওয়াক্তের নামাজ আদায় করে সুরা মারইয়াম তেলাওয়াত করা। এ আমলটি যারা বিয়ে করবে তারা পড়বে। যদি ছেলে মেয়েরা না পড়ে কিংবা পড়তে না পারে তাদের বাবা-মা বা অভিভাবকরাও পড়তে পারবে।

তাসবিহে ফাতেমি পড়া

নিয়মিত নামাজের পর তাসবিহে ফাতেমি পড়া। আর তাসবিহে ফাতেমি পড়ার আগে কুরআন তেলাওয়াত ও দরূদ পাঠ করে পড়া উত্তম। তাসবিহে ফাতেমি হলো-
- سُبْحَانَ الله : আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার পড়া।
- اَلْحَمْدُ لِلّه : আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার পড়া।
- اَللهُ اَكْبَر : আলহামদুলিল্লাহ ৩৩/৩৪ বার পড়া।

সুরা মুজাম্মিল পড়া

যদি কোন মেয়ে বড় হয়ে যায়, কোন বিয়ের প্রস্তাব না পায় তাহলে মা-বাবা অথবা অভিভাবক যে কোনো একজন শুক্রবার জুমআর নামাজের পর ২ রাকাআত নামাজ আদায় করে ২১ বার সুরা মুজাম্মিল পড়বে।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলের মনের আশা পূরণ করুন। আমীন।


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি