ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

যেসব ক্ষেত্রে গর্ভপাত করানো বৈধ: ডা. কাজী ফয়েজা আক্তার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:২৩, ১ নভেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৮:৩৩, ১ নভেম্বর ২০১৮

ডা. কাজী ফয়েজা আক্তার

ডা. কাজী ফয়েজা আক্তার

গর্ভপাত সাধারণত দু`ভাবে হয়। একটা হতে পারে গর্ভের সন্তান নিজে নিজে নষ্ট হয়ে গেল। সেক্ষেত্রে তাকে মায়ের গর্ভ থেকে বের করে ফেলতে হয়। সেটাও এক ধরণের অ্যাবরশন। আরেকটা হতে মা যখন অনাগত সন্তান পৃথিবীতে আসুক তা চান না। তখন তিনি স্বেচ্ছায় গর্ভপাত করান।

সহজ বাংলায় এই অ্যাবরসনকে আমরা গর্ভপাত বলে থাকি। আইনগনতভাবে আমাদের দেশে গর্ভপাত স্বীকৃত না। তবে কিছু কিছু পরিস্থিতিতে গর্ভপাত করানো যায়। যেমন- কোনো মেয়ে যদি ধর্ষণের কারণে অন্ত:স্বত্ত্বা হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে গর্ভপাত করানো যাবে।

মেয়েটা যদি কোনোভাবে অন্ত:স্বত্ত্বা হয়ে গেল কিন্তু সে মানসিকভাবে অসুস্থ- এ ধরণের পরিস্থিতিতে গর্ভপাত করানো যায়। সে (মা) হয়তো বিবাহিত কিন্তু এ মুহুর্তে সন্তান চাচ্ছে না, বা সে অবিবাহিত কিন্তু আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা মুহুর্তে সন্তান তার গর্ভে এসেছে- এসব ক্ষেত্রে কিন্তু আমরা অ্যাবরশন করাই না।

অবিবাহিত কোনো নারী যদি অপ্রত্যাশিতভাবে গর্ভধারণ করেন অর্থাৎ কনসিভ করার পেছনে যদি তার বয়ফ্রেন্ডের ভূমিকা থাকে, তখন আমরা তাদের কাউন্সেলিং করি, যেভাবেই হোক পারিবারিকভাবে সমস্যাটি মিটিয়ে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে বিয়ে করে ফেলার জন্য। এটা মেনে নেওয়া না নেওয়া সেটা হয়তো তাদের ব্যাপার।

কিন্তু একজন রেজিস্ট্রার্ড ডাক্তার হিসেবে এরকম বেআইনি গর্ভপাত করানোর দায় আমি বা আমরা নিতে পারি না।

পরামর্শদাতা: ডা. কাজী ফয়েজা আক্তার

এমবিবিএস, এফসিপিএস, এমসিপিএস

কনসালটেন্ট, ইমপালস হাসপাতাল।

শ্রুতি লেখক: আলী আদনান।

অা অা// এআর


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি