ঢাকা, বুধবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

রক্তরাঙা সূর্যোদয়ের পূর্বাভাষ ছিলো একাত্তরের ২৬ মার্চ

প্রকাশিত : ০৯:৩১, ২৬ মার্চ ২০১৬ | আপডেট: ১৮:৩৭, ২৬ মার্চ ২০১৬

Ekushey Television Ltd.

ভয়াল কালরাতের ধ্বংসস্তুপ আর লাশের মধ্য থেকে রক্তরাঙা সূর্যোদয়ের পূর্বাভাষ ছিলো একাত্তরের ২৬ মার্চে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের কারাগারে পাঠানো হয়। যাবার আগে বার্তার মাধ্যমে নির্দেশ দিয়ে যান মুক্তিসংগ্রামের। এই বার্তাই চট্টগ্রাম বেতারকেন্দ্র থেকে ধ্বণিত হয় গোটা পূর্ববাংলায়। বিক্ষুব্ধ বাঙালী জ্বলে ওঠে। ঝাপিয়ে পড়ে সশস্ত্র সংগ্রামে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। শহরের অলিগলিতে লাশের মিছিল। পথে পথে ছোপ ছোপ রক্ত আর পাক হায়েনার বুটের ছাপ। রাতের প্রথম প্রহর। ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বন্দী করা হয় বেগম ফজিলাতুন নেসা মুজিবসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের। দেশের মানুষের চোখে যে স্বপ্ন দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু, তা যেন দু:স্বপ্নে পরিণত না হয়, তাই পাকিস্তান কারাগারে যাবার আগে বার্তা রেখে যান স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধের। বঙ্গবন্ধু ঘোষিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হ্যান্ডবিল আকারে ইংরেজী ও বাংলায় ছাপিয়ে বিলি করা হয় চট্টগ্রামে। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার বার্তা বারবার পাঠ করা হয়। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটির সাইক্লোস্টাইল করা কপি রাতেই পৌছে যায় শহরবাসীর হাতে হাতে। একই রাতে মাইকযোগেও প্রচার করা হয় স্বাধীনতার ঘোষণা। বাঙালী জাতি কিছুটা অপ্রস্তুত থাকলেও, অবশেষে মুক্তিসংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়ে। সাধারণ জনগণ-ছাত্র-শিক্ষক, কৃৃষক-মজুর, অখ্যাত পল্লীর দুরন্ত তরুণ, নগর-মহানগরীর যুবশক্তি, কলকারখানার শ্রমিক ও সব শ্রেণীর পেশার মানুষ মুক্তির স্লোগানে উত্তপ্ত করে তোলে গোটা পূর্ব বাংলা। ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে মূর্ত হয়ে উঠে জনগণের আত্মত্যাগের মহোৎসব।
Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি