রক্তের বিন্দু দিয়ে লড়াই করেছেন মাসচেরানো!
প্রকাশিত : ০৯:৩২, ২৭ জুন ২০১৮ | আপডেট: ০৯:৩৩, ২৭ জুন ২০১৮
গাল কেটে রক্তবিন্দু ঝরছে। সাদা গাল মুহূর্তেই লাল হয়ে গেছে। এরপরও নিস্তার নেই। রক্ত ঝরছে। অঝোর ধারায় ঝরছে। সেই রক্তবিন্দু নিয়েই বীরের মতো লড়াই করেছেন মাসচেরানো। এরপর আরও রক্ত। চোখের কোণ ফেটে গেছে। যোদ্ধার যুদ্ধ যে তখনো শেষ হয়নি। গাল রক্তাক্ত। চোখের কোণ রক্তাত্ত্ব। চালিয়ে গেছেন যুদ্ধ। লড়ে গেছেন গ্রীক বীরযোদ্ধা অ্যাকিলিস-হেক্টরের মতো। হয়তো কাব্যগ্রন্থটা লেখা হয় মেসিকে ঘিরে। কিন্তু সেই কাব্যের পেছনের নায়ক যে মাসচেরানো।
যদিও আপাতদৃষ্টিতে লিওনেল মেসি দলটির বীর যোদ্ধা। হাতের বাহুবন্ধনী বলে মেসিই নায়ক। তবে নাইজেরিয়া ম্যাচের আগে থেকেই নায়ক মাসচেরানো। কোচের সঙ্গে খেলোয়াড়দের বিবেদ মেটানোর ভারটাওযে তার কাঁধে গিয়ে পড়েছিল। সাম্পাওলির সঙ্গে মেসিদের বিবেদ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে ম্যাচটিই নাকি বাতিল নাকি বয়কট করতে চেয়েছিল ফুটবলাররা। পরবর্তীতে এগিয়ে আসেন মাসচেরানো। বিভেদ মেটাতে কয়েকবার বসেন খেলোয়াড়দের সঙ্গে। বসেন কোচের সঙ্গে। অবশেষে মাঠের বাইরে আসে সফলতা। সেই সফলতা মাঠে আনতেই আরেকবার রক্তবিন্দু জড়িয়েছেন তিনি।
গঞ্জালো হিগুয়াইন যে আজকের ম্যাচেও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। পারেননি সহজ বলটাকে নাইজেরিয়ার জালে জড়াতে। তাইতো নিজের রক্ত বিন্দু দিয়েই লড়তে হয়েছে মাসচেরানোকে। আগের মতো আর গতি নেই। প্রথমার্ধেতো মাসচেরানোকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না। খেলার দ্বিতীয়ার্ধে মুহূর্মুহু আক্রমণে গিয়েছে আর্জেন্টাইনরা। এ সময় রক্ত ঝরছিলো তার গাল দিয়ে। তবুও থেমে থাকেননি। বারবার মেসিদের বল দিতে মধ্যমাঠ থেকে আক্রমণপ্রান্ত সর্বত্রই লড়াই করেছেন এ বীর যোদ্ধা।
এই মাচেরানোকেই গতবার দেখা গেছে সেমিফাইনালে পেনাল্টি শুটআউটে দলকে কীভাবে উজ্জীবিত করছেন! অধিনায়ক মেসি জটলার বাইরে একা দাঁড়িয়ে, আর মাসচেরানো বাকিদের বোঝাচ্ছেন। বোঝাচ্ছেন, আকাশি-সাদা জার্সিটা মানে কত আবেগ। এখানে হিসাব চলে না। এখানে জড়িয়ে আছে আবেগ-ভালোবাসা। সেই ভালোবাসা হাজারো রক্তবিন্দুর চেয়ে উত্তম।
এমজে/