ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রবার্ট কেনেডির সঙ্গে প্রেম ছিল মেরিলিনের!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৫৫, ২৮ অক্টোবর ২০১৭

১৯৬৩ সালের ২২শে নভেম্বর যখন সাবেক মার্কিন এটর্নি জেনারেল রবার্ট কেনেডিকে হত্যা করা হয় তখন তিনি একটি ছাদ-খোলা লিমুজিনে চড়ে ডালাসের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। ওই রাস্তার উপর নজর রাখা যায় এমন একটি ভবনের জানালা দিয়ে লী হার্ভি অসওয়াল্ড গুলি করে তাঁকে হত্যা করেন বলে ওয়ারেন কমিশনের রিপোর্টে দাবি করা হয়।

তবে এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে নানা রকম ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়ে পড়েছিল। ওয়ারেন কমিশন অবশ্য জানায়, লী হার্ভি অসওয়াল্ড, বা তাকে হত্যকারী জ্যাক রুবি আসলে কোনো বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল না। কিন্তু তারপরও কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে জল্পনা-কল্পনা থামেনি।

১৯৬৪ সালের ১৫ই জুলাই, তৎকালীন এটর্নি জেনারেল রবার্ট কেনেডির কাছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। চিঠির মাধ্যমে এটর্নি জেনারেলকে বলা হয়, শিগগিরই একটি বই প্রকাশ হতে যাচ্ছে। সেখোনে উল্লেখ রয়েছে, হলিউড নায়িকা মেরিলিন মনরোর সঙ্গে রবার্ট কেনেডির গোপন প্রেম আছে। ঘটনার নেপথ্যে অন্য কারণ। রবার্ট কেনেডি পর্দার অন্তরালে কমিউনিস্টদের সঙ্গে কাজ করছিলেন মেরিলিন মনরোকে হত্যা করার জন্য।

চিঠিতে বলা হলো, যে রাতে মেরিলিন মনরো মারা যান সে রাতে নিজের এপার্টমেন্টেই অবস্থান করছিলেন রবার্ট কেনেডি। কিন্তু গোয়েন্দারা জানান, কেনেডিকে নিয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা। কারণ, এটর্নি জেনারেল তখন সান ফ্রান্সিসকোতে নিজের স্ত্রীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন।

উল্লেখ্য, এটর্নি জেনারেল রবার্ট কেনেডি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ছোট ভাই। জন এফ কেনেডিকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর অসংখ্য ফাইল জমা হয় যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোতে। সেই হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিপুল পরিমাণ ফাইল প্রকাশ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

১৯৬৩ সালে হত্যা করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডিকে। এর সঙ্গে জড়িত বলে শোনা যায় লী হার্ভি অসওয়াল্ড, অসওয়াল্ডের খুনি জ্যাক রুবি। কয়েক হাজার এমন নথি প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এফবিআইয়ের সাক্ষাতকার, সিআইএ ও অন্য সরকারি কর্মকর্তাদের তৎপরতা।

দীর্ঘ সময় এসব রিপোর্টকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু তা প্রকাশ করার পর বেরিয়ে আসছে অনেক নাম। তার মধ্যে রয়েছেন নায়িকা মেরিলিন মনরো থেকে শুরু করে দস্যু স্যাম গিয়ানকারানের নাম।

জন এফ কেনেডিকে ডালাসে হত্যার পর ইতিহাসে কলঙ্ক লাগে। এ হত্যাকাণ্ডের আগ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রকে নিরপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। তবে এ বিষয়ে সব রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য প্রায় ৩০০ দলিল প্রকাশ বিলম্বিত করার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে অনুরোধ করেছে এফবিআই ও সিআইএ। প্রেসিডেন্ট তা অনুমোদন করেছে।

তবে প্রকাশিত দলিলে ১৯৬৪ সালের মে মাসের একটি নোট পাওয়া গেছে। যা সাবেক সোভিয়েত নেতা নিকিতা ক্রুশ্চেভের একটি কথোপকথন রয়েছে। এতে সোভিয়েত নেতাকে বলতে শোনা যায়, তিনি বিশ্বাস করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা একেবারে অদক্ষ। কোনো ষড়যন্ত্র ছাড়াই জন এফ কেনেডিকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বিশ্বাস করেন, তার হত্যাকাণ্ডে ডালাস পুলিশ ডিপার্টমেন্টও জড়িত (এক্সেসরি)।

সিআইএ সূত্র জানতে পারে যে, এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে আমেরিকান রাইট উইং থাকতে পারে বলে ক্রুশ্চেভের কিছু অন্ধ ধারণা ছিল। সিআইএ জানায়, যখন বলা হয়, অসওয়াল্ড ও রুবি- দু’জনেই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তখন ক্রুশ্চেভ বলে দেন, তিনি বিশ্বাস করেন না।

আর/ডব্লিউএন

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি