রমজান দেশে দেশে
প্রকাশিত : ১৮:০২, ১৭ মে ২০১৯ | আপডেট: ১৮:১১, ১৭ মে ২০১৯
সাওম বা রোজা। মুসলিমদের জন্য অবশ্য পালনীয় আকাঙ্খিত একটি ইবাদত। সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব ধরণের পানাহার থেকে বিরত থাকার নামই হলো রোজা।
পৃথিবীর সব দেশের মুসলিমরা রোজা পালন করেন। এটি শুধু একটি ইবাদতই নয়, বলা হয়ে থাকে আত্মশুদ্ধির একটি পন্থা। যা প্রতিটি মুসলিমকে ধৈর্য্য ও ত্যাগের শিক্ষা দেয়।
মুসলিম বিশ্বের লোকজন একই পদ্ধতিতে রোজা পালন করলেও, প্রকৃতি ও ভৌগলিক কারণে সমেয়র তারতম্য ঘটে। এ কারণেই কোথাও ৯ ঘন্টা আবার কোন দেশে ২২ ঘন্টা হয়ে থাকে।
গত ৬ মে থেকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথীবির সবদেশে পবিত্র মাহে রমজান শুরু হয়েছে।
এ বছর ৩৩ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় রোজা পালন করছে রাশিয়ার মুরমান্সক নামের একটি প্রদেশের লোকদের। যেখানে ২০ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে রোজা রাখছেন মুসলিম অধ্যসিত প্রদেশটির লোকজন।
এরপর, স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে এবার ১৯ ঘণ্টার বেশি সময় তাদের পানাহার থেকে বিরত থাকতে হচ্ছে। অথচ শীতকালে এ অঞ্চলের মুসলিমদের সিয়াম সাধনা করতে হয় মাত্র আট ঘণ্টার মতো।
অন্যদিকে, বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিমরা রোজা রাখছে সাড়ে ১৪ ঘন্টা। তবে, এশিয়া অঞ্চলের তুলনায় মধ্য প্রাচ্যসহ স্ক্যান্ডিনেভিয়ান অঞ্চলের ডেনমার্ক, নরওয়ে ও আইসল্যান্ডের মত দেশগুলোতে রোজা রাখতে হচ্ছে দীর্ঘ সময় ধরে।
দক্ষিণ এশিয়া: বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, নেপাল, আফগানিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের মুসলিমরা এ বছর ১৪ ঘন্টার বেশি সময় ধরে রোজা রাখছে।
মধ্যপ্রাচ্য: সৌদি আরব, কুয়েত, যুকরাষ্ট্র, ইরাক, ইরান, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ফিলিস্তিন, ইয়েমেন, জর্দান, লিবিয়া, মরক্কোসহ প্রাচ্যের দেশগুলোর মুসলিমরা অন্যান্য বারের তুলনায় এ বছর দীর্ঘ সময় ধরে রোজা রাখছে। প্রায় ১৬ ঘন্টা ধরে রোজা রাখতে হচ্ছে এ অঞ্চলের রোজাদারদের।
ইউরোপ: ইউরোপের দেশ ভেদে সময়ের দীর্ঘ তারম্য রয়েছে। বৃটেন, আইসল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশে ১৮ ঘন্টা রোজা রাখতে হচ্ছে। ইউরোপের উত্তরের দেশ তথা স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে যেমন, সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়েতে এই ব্যবধান আরো বেশি, ২০ থেকে ২১ ঘণ্টা।
এছাড়া, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, বেলারুশ, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, কাজাকিস্তান, বেলজিয়াম, চেক রিপাবলিক, অস্ট্রিয়া ও হাঙ্গেরিতে রোজা রাখার সময় প্রায় ১৭ ঘন্টা।
আই//