রমজান মাসে বাজার নিয়ন্ত্রণে টিসিবির উদ্যোগ
প্রকাশিত : ১২:৩০, ২৬ এপ্রিল ২০১৬ | আপডেট: ১২:৩০, ২৬ এপ্রিল ২০১৬
প্রতিবছরের মতো এবারও রমজান মাসে চিনি ও ভোজ্যতেলসহ বহুল ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকারি বিপণন সংস্থা- টিসিবি। রমজান মাসের প্রায় দশ দিন আগে থেকে ট্রাকে এবং নিজস্ব ডিলারের মাধ্যমে পণ্য ভোক্তার কাছে পৌঁছে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। তবে, বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভোক্তাদেরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কনজ্যুমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- ক্যাব।
রমজানকে ঘিরে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। তাই প্রতিবছরের মতো এবারও চিনি, সয়াবিন তেল, ছোলা, মসুর ডাল ও খেজুরের মতো পাঁচটি পণ্য মজুদ করে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবি।
এবছর রোজায় ১ হাজার ৫০০ টন চিনি মজুদ করবে টিসিবি। চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন থেকে এ চিনি সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া স্থানীয় বাজার থেকে ৫০০ টন বোতলজাত সয়াবিন সংগ্রহ করা হবে। অন্যদিকে ইতোমধ্যেই টিসিবির গুদামে ১ হাজার ১০৭ টন মসুর ডাল মজুদ রয়েছে। এজন্য আপাতত নতুন করে আর মসুর ডাল কেনা হবে না। তবে চাহিদা বাড়লে তখন আবারও মসুর ডাল সংগ্রহ করা হবে। পাশাপাশি ১ হাজার ৫০০ টন ছোলা মজুদ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় বলে সব শেষে স্থানীয় বাজার থেকে খেজুর সংগ্রহ করবে টিসিবি।
রমজানের দিন দশেক আগে থেকেই তালিকাভুক্ত প্রায় তিন হাজার ডিলার ও ১৭৪টি ট্রাকে করে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। এসব উদ্যোগ রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে ইতিবাচক ভুমিকা রাখবে বলেও মনে করেন তিনি।
রমজানে দাম বাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় অনেকে একবারে পুরো মাসের কেনাকাটা করেন। আর এতেও অস্থিতিশীল হয় বাজার। এজন্য ক্রেতাদেরও সচেতন হতে হবে বলে মনে করে ক্যাব। ক্রেতাদের পাশাপাশি পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে টিসিবিকেও সচেতন হওয়ার পরামর্শ তার।
আরও পড়ুন