রমজানে চিনি ও ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা(ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:২৯, ৫ এপ্রিল ২০১৮
রমজানে যেসব নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা থাকে তার মধ্যে চিনি ও ভোজ্যতেল অন্যতম। দেশীয় উৎপাদনে চাহিদার মাত্র ১০ শতাংশ পূরণ হলেও, বাকী ৯০ শতাংশের যোগান নির্ভর করে দেশের শীর্ষ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠাগুলোর উপর। তাই দাম সহনশীল রাখতে আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখা জরুরি বলে মনে করেন ব্যবসায়িরা। তারা আশা করছেন, আসন্ন রমজানে চিনি ও ভোজ্যতেলের দামে খুব বেশি হেরফের হবে না।
আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন দেশে তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়। তবে, বাংলাদেশে শীর্ষ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর তেলের দামে রয়েছে ভিন্নতা।
ব্যবসায়িরা জানিয়েছেন, তিন ধরনের মানের তেল আছে বাজারে। এরমধ্যে সয়াবিন প্রতি মণ তিন হাজার একশ’ টাকা, সুপার প্রতি মণ দুই হাজার ৬শ’ ২০ টাকা এবং পাম প্রতি মণ দুই হাজার ৫শ’ ২০ টাকা দরে বিক্রি করছে কয়েকটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। আর চিনি বিক্রি হচ্ছে মণ প্রতি এক হাজার ৯শ’ ৪০ থেকে এক হাজার ৯শ’ ৪৫ টাকায়। পার্থক্য রয়েছে সিটি, মুন, মেঘনা ও দেশবন্ধু গ্র“পের আমদানি করা তেলের দামে।
খুচরা বাজারে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮৫ থেকে ৮৮ টাকা এবং বোতলজাত সয়াবিন তেল ১০৪ থেকে ১০৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা চিনি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা কেজি দরে।
এছাড়া, রমজানে বৃদ্ধি পায় জিরা, দারুচিনি, এলাচী ও কিসমিসের দাম। আমদানি নির্ভর এসব পণ্যের যোগান আশানুরুপ থাকায় রমজানে দামের তেমন হেরফের হবে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়িরা।
রমজানে তেল, চিনি, ডাল, ছোলা ও খেজুর- এই ৫ পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ- টিসিবি।
নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট ঠেকাতে টিসিবি পর্যাপ্ত পণ্যের মজুদ রাখছে বলেও জানিয়েছেন সংস্থার কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন